০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বান্ধবীর বিয়ে হওয়ায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ফাঁস নিল অপর বান্ধবী

ছবি-সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বান্ধবীর বিয়ে হওয়ায় ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে রিয়া খাতুন (১৭) নামে কলেজ শিক্ষার্থী আত্নহত্যা করেছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

রিয়া খাতুন কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের রাশিদুল মালিথার মেয়ে। কুমারখালী আদর্শ মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।

ফেসবুক স্টাটাসে রিয়া লেখেন, ‘অনেক মানুষই তো মরে আমি মরলেই দোষ কি বা তাতে’।

নিহতের ফুফু টুম্পা খাতুন জানান, রিয়ার সঙ্গে সহপাঠী নুসরাতের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। উভয় উভয়কে একদিন না দেখে থাকতে পারত না। দুই বান্ধবী ওয়াদাবদ্ধ ছিল পড়ালেখা শেষ করে একসঙ্গে বিয়ে করার। কিন্তু হঠাৎই নুসরাতকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর নুসরাত বাবার বাড়িতে আসলে রিয়া তাকে স্বামীর বাড়ি যেতে নিষেধ করে। নুসরাত তার অনুরোধ উপেক্ষা করে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তারা পার্শ্ববর্তী ওয়াজ মাহফিল থেকে ফিরে এসে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে পরিবারের লোকজন ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

পার্শ্ববর্তী সাবেক কলেজ শিক্ষক দিপু মুন্সী জানান, রিয়া খাতুন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিল। সে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে মেধা তালিকায় স্কলারশিপ পায়। সে কারণে আমি নিয়মিত তার লেখাপড়ার খোঁজখবর নিতাম শুধু তাই নয়, শিক্ষাক্ষেত্রে রিয়ার এমবিশন ছিল অত্যন্ত হাই কিন্তু নসিমন চালক বাবার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে তাল মিলাতে গিয়ে রিয়া খাতুন মাঝে মাঝে মেন্টাল ডিপ্রেশনে ভুগতো। সব কিছু মিলিয়ে এমন মেধাবী শিক্ষার্থী বেছে নিয়েছে আত্মহত্যার পথ। যা মেনে নেওয়ার মতো নয়।

কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় মা ক্লিনিকের নার্স বিপাশার লা শ উদ্ধার

বান্ধবীর বিয়ে হওয়ায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ফাঁস নিল অপর বান্ধবী

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৩:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বান্ধবীর বিয়ে হওয়ায় ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে রিয়া খাতুন (১৭) নামে কলেজ শিক্ষার্থী আত্নহত্যা করেছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

রিয়া খাতুন কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের রাশিদুল মালিথার মেয়ে। কুমারখালী আদর্শ মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।

ফেসবুক স্টাটাসে রিয়া লেখেন, ‘অনেক মানুষই তো মরে আমি মরলেই দোষ কি বা তাতে’।

নিহতের ফুফু টুম্পা খাতুন জানান, রিয়ার সঙ্গে সহপাঠী নুসরাতের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। উভয় উভয়কে একদিন না দেখে থাকতে পারত না। দুই বান্ধবী ওয়াদাবদ্ধ ছিল পড়ালেখা শেষ করে একসঙ্গে বিয়ে করার। কিন্তু হঠাৎই নুসরাতকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর নুসরাত বাবার বাড়িতে আসলে রিয়া তাকে স্বামীর বাড়ি যেতে নিষেধ করে। নুসরাত তার অনুরোধ উপেক্ষা করে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তারা পার্শ্ববর্তী ওয়াজ মাহফিল থেকে ফিরে এসে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে পরিবারের লোকজন ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

পার্শ্ববর্তী সাবেক কলেজ শিক্ষক দিপু মুন্সী জানান, রিয়া খাতুন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিল। সে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে মেধা তালিকায় স্কলারশিপ পায়। সে কারণে আমি নিয়মিত তার লেখাপড়ার খোঁজখবর নিতাম শুধু তাই নয়, শিক্ষাক্ষেত্রে রিয়ার এমবিশন ছিল অত্যন্ত হাই কিন্তু নসিমন চালক বাবার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে তাল মিলাতে গিয়ে রিয়া খাতুন মাঝে মাঝে মেন্টাল ডিপ্রেশনে ভুগতো। সব কিছু মিলিয়ে এমন মেধাবী শিক্ষার্থী বেছে নিয়েছে আত্মহত্যার পথ। যা মেনে নেওয়ার মতো নয়।

কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।