০৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় মা ক্লিনিকের নার্স বিপাশার লা শ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ইসলামপাড়া বিপাশা খাতুন (৩০) নামের এক যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে

সোমবার (১৮ মে) দুপুরে নিজ বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিপাশা খাতুন ইসলামপাড়ার চাঁদ মিয়ার মেয়ে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অদূরে মা ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি অবিবাহিত ছিলেন।

ক্লিনিকের সহকর্মীরা জানান, মালেশিয়া প্রবাসী এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বিপাশার। গত শনিবার রাতে ক্লিনিকে ডিউটিরত অবস্থায় বিপাশার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। এরপরই বাড়িতে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে বিপাশা। রাতে না গেলেও পরদিন সকালে ডিউটি শেষ করে বাড়িতে যায়। দুপুরে তার মৃত্যুর খবর পাই আমরা।

সহকর্মীরা আরও বলেন, ছেলেটার বাড়ি মেহেরপুর। সম্ভবত ছেলেটা বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এ কারণে আত্মহত্যা করতে পারে। তবে এ বিষয়ে বিপাশার তার মা ভালো বলতে পারবেন।

এদিকে, তার মৃত্যু নিয়ে রহস্যের দানা বেধেছে। তবে রোববার রাত পর্যন্ত তার পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে মুখ খোলেনি।

ঘটনার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিদর্শন করেন এবং প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেন। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে আজ সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আত্মহত্যার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় মা ক্লিনিকের নার্স বিপাশার লা শ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গায় মা ক্লিনিকের নার্স বিপাশার লা শ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ১১:১৮:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ইসলামপাড়া বিপাশা খাতুন (৩০) নামের এক যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে

সোমবার (১৮ মে) দুপুরে নিজ বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিপাশা খাতুন ইসলামপাড়ার চাঁদ মিয়ার মেয়ে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অদূরে মা ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি অবিবাহিত ছিলেন।

ক্লিনিকের সহকর্মীরা জানান, মালেশিয়া প্রবাসী এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বিপাশার। গত শনিবার রাতে ক্লিনিকে ডিউটিরত অবস্থায় বিপাশার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। এরপরই বাড়িতে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে বিপাশা। রাতে না গেলেও পরদিন সকালে ডিউটি শেষ করে বাড়িতে যায়। দুপুরে তার মৃত্যুর খবর পাই আমরা।

সহকর্মীরা আরও বলেন, ছেলেটার বাড়ি মেহেরপুর। সম্ভবত ছেলেটা বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এ কারণে আত্মহত্যা করতে পারে। তবে এ বিষয়ে বিপাশার তার মা ভালো বলতে পারবেন।

এদিকে, তার মৃত্যু নিয়ে রহস্যের দানা বেধেছে। তবে রোববার রাত পর্যন্ত তার পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে মুখ খোলেনি।

ঘটনার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিদর্শন করেন এবং প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেন। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে আজ সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আত্মহত্যার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।