১১:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দর্শনায় ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে আঁখক্ষেতে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নগদ টাকাসহ পাখিভ্যান ছিনতাই

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন কোটালি-ছোটশলুয়া সড়কে মুহাম্মদ রনজু নামের এক ঝালমুড়ি বিক্রেতার হাত-পা বেঁধে পাখিভ্যান ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার (১৯ জানুয়ারী) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে কোটালী গ্রামের ফাঁকা মাঠে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মুহাম্মদ রনজু ছোট শলুয়া গ্রামের কুমিল্লা পাড়ার সিদ্দিক বেপারির ছেলে।

এই ভ্যানটিই ছিলো তার একমাত্র রুটিরুজির সম্বল। রঞ্জু মিয়া কৌশলে প্রাণ রক্ষা পেলেও ভ্যানটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শহীদ তিতুমীর রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রনজু রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আমি প্রায়ই কোটালি বাজারে ঝালমুড়ি বিক্রি করি। অন্যান্য দিনের মতো আজকেও বেচাকেনা শেষ করে মাগরিবের পর এশার আগ মুহুর্তে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি। কোটালি বাজার ছেড়ে কেরু এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের ফার্মের মোড় পার হওয়ার পরই তিনজন ব্যক্তি আমাকে অবরোধ করেন। তাদের মুখ বাঁধা ছিলো এবং দেশীয় ধারাল অস্ত্র (হাসুয়া-চাকু) ছিল। তারা আমাকে ভ্যান থেকে নামিয়েই ভ্যানের সামনের লাইট ভেঙ্গে ফেলেন। এরপর আমাকে টেনেহিঁচড়ে পাশের আঁখ ক্ষেতের ভিতরে নিয়ে মাফলার দিয়ে মুখ বাঁধেন। আমার পরনের লুঙ্গী ছিড়ে পা দুটি বাঁধেন। এরপর আমার কাছে থাকা নগদ ১ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও ভ্যানটি নিয়ে যান।

ঝালমুড়ি বিক্রেতা রজনু বলেন, ছিনতাইকারীরা চলে যাওয়ার পর আমি দাঁত দিয়ে কামড়িয়ে হাতের বাঁধন খুলে রাস্তায় এসে দেখি ভ্যানে থাকা ঝালমুড়ির সরঞ্জামাদি রেখে ভ্যানটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে তারা থানা পুলিশকে জানান।

দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শহীদ তিতুমীর রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সাথে নিয়ে ছিনতাইকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

জনপ্রিয় গায়ক নোবেল গ্রেপ্তার

দর্শনায় ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে আঁখক্ষেতে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নগদ টাকাসহ পাখিভ্যান ছিনতাই

প্রকাশের সময় : ০১:০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন কোটালি-ছোটশলুয়া সড়কে মুহাম্মদ রনজু নামের এক ঝালমুড়ি বিক্রেতার হাত-পা বেঁধে পাখিভ্যান ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার (১৯ জানুয়ারী) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে কোটালী গ্রামের ফাঁকা মাঠে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মুহাম্মদ রনজু ছোট শলুয়া গ্রামের কুমিল্লা পাড়ার সিদ্দিক বেপারির ছেলে।

এই ভ্যানটিই ছিলো তার একমাত্র রুটিরুজির সম্বল। রঞ্জু মিয়া কৌশলে প্রাণ রক্ষা পেলেও ভ্যানটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শহীদ তিতুমীর রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রনজু রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আমি প্রায়ই কোটালি বাজারে ঝালমুড়ি বিক্রি করি। অন্যান্য দিনের মতো আজকেও বেচাকেনা শেষ করে মাগরিবের পর এশার আগ মুহুর্তে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি। কোটালি বাজার ছেড়ে কেরু এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের ফার্মের মোড় পার হওয়ার পরই তিনজন ব্যক্তি আমাকে অবরোধ করেন। তাদের মুখ বাঁধা ছিলো এবং দেশীয় ধারাল অস্ত্র (হাসুয়া-চাকু) ছিল। তারা আমাকে ভ্যান থেকে নামিয়েই ভ্যানের সামনের লাইট ভেঙ্গে ফেলেন। এরপর আমাকে টেনেহিঁচড়ে পাশের আঁখ ক্ষেতের ভিতরে নিয়ে মাফলার দিয়ে মুখ বাঁধেন। আমার পরনের লুঙ্গী ছিড়ে পা দুটি বাঁধেন। এরপর আমার কাছে থাকা নগদ ১ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও ভ্যানটি নিয়ে যান।

ঝালমুড়ি বিক্রেতা রজনু বলেন, ছিনতাইকারীরা চলে যাওয়ার পর আমি দাঁত দিয়ে কামড়িয়ে হাতের বাঁধন খুলে রাস্তায় এসে দেখি ভ্যানে থাকা ঝালমুড়ির সরঞ্জামাদি রেখে ভ্যানটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে তারা থানা পুলিশকে জানান।

দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শহীদ তিতুমীর রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সাথে নিয়ে ছিনতাইকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।