বিএনপির ৩১ দফা, তারেক রহমানের বার্তা ও ধানের শীষের প্রচারণায় ব্রত নিয়ে মাঠে নেমেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ। অব্যাহতভাবে প্রতিদিনই তিনি ছুটে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। শুনছেন তাদের সুখ–দুঃখের গল্প, জানছেন এলাকার সমস্যাগুলো, খুঁজছেন সমাধানের পথ। প্রিয় নেতাকে নিজ এলাকায় দেখে এলাকাবাসী সাদরে সম্ভাষণ জানাচ্ছেন, প্রবীণরা দোয়া করছেন মাথায় হাত রেখে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শরীফুজ্জামান শরীফ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের হাটখোলা বাজার, ডিঙ্গেদহ বাজার ও আশপাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি বহালগাছী, কিরনগাছি, যুগিরহুদা, জাদবপুর, কালি ভান্ডারদোহা, বসু ভান্ডারদোহা, নতুন ও পুরাতন ভান্ডারদোহা গ্রাম ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিএনপির ৩১ দফার প্রচারপত্র বিতরণ করেন।
প্রচারণাকালে তিনি বলেন, আমার ভাই ও বোনেরা, এই গ্রামের পথ-মাঠই আমাদের প্রেরণা। আমি আপনাদের কাছে এসে বুঝতে পারি—আপনাদের সুখ কোথায় আর দুঃখ কোথায়। সুখ তো তখনই, যখন কৃষক তার ফসলের ন্যায্যমূল্য পায়, শ্রমিক ঘাম ঝরিয়ে হাসিমুখে ঘরে ফেরে। কিন্তু আজ সেই সুখ কোথায়? প্রতিদিনের বাজারে আগুন, কর্মসংস্থানের সংকট, ন্যায়ের জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘোরা—এই দুঃশাসনই আপনাদের কষ্টের মূল।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি, এই গ্রামের মানুষ শান্তিতে বাঁচতে চায়। বিএনপি সব সময় এই গ্রামের মানুষের দল। আমাদের গঠনতন্ত্রই বলে—মানুষের দুঃসময়ে পাশে থাকা। তারেক রহমানের ৩১ দফা এই গ্রামের প্রতিটি মানুষের জন্য ন্যায্য মূল্য, ন্যায়বিচার আর সম্মান ফিরিয়ে আনবে। আপনারা ধানের শীষে ভোট দিন, আমরা আপনাদের দুঃখ দূর করে সুখের দিন ফিরিয়ে আনব।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “আমাদের নেতা তারেক রহমানের ৩১ দফা হলো এই বাজারের প্রতিটি ব্যবসায়ী, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির সনদ। আমরা অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন করে সিন্ডিকেট ভাঙব, প্রশাসনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করব। যেন কেউ চাঁদাবাজি বা হয়রানির শিকার না হয়। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনব—যা আমাদের ১০ দফা আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফায় যেমন অর্থনৈতিক মুক্তির আহ্বান ছিল, আমরা সেই পথেই হাঁটব। তারেক রহমানের নির্দেশ—আমাদের অর্থনীতি হবে জনমুখী। তাই আমি বলি, ভয় নয়, ঐক্যবদ্ধ হোন। ধানের শীষে ভোট দিন। ধানের শীষের বিজয় মানে জনগণের মুক্তি, ব্যবসায়িক নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতিষ্ঠা।
গণসংযোগকালে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরীফুজ্জামান শরীফের সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপটন, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন হাবলু, শফিউল হক সালাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক হামিদ উদ্দিন বাবু, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুব হক মহাবুব, পদববিলা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুবেল হাসান, মহসিন আলী, রোমেল, তুহিন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি খন্দকার আরিফসহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এএইচ
নিজস্ব প্রতিবেদক 





















