চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জাফরপুরে যাত্রীবাহী বাসচাপায় মাহফুজুর রহমান (২৮) নামের এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বাসযাত্রীসহ আরও তিনজন, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শনিবার (১১ অক্টোবর ২০২৫) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা বিজিবি ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) সামনে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহফুজুর রহমান সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের হাজী ইউনুস আলীর ছেলে। তিনি পেশায় ফ্রিল্যান্সার ছিলেন এবং অবিবাহিত।
পরিবার জানায়, বন্ধুর বিয়ের দাওয়াতে যোগ দিতে দুই বন্ধু মোটরসাইকেলযোগে দর্শনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন মাহফুজুর। পথে ঘটে এই দুর্ঘটনা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝিনাইদহ থেকে চুয়াডাঙ্গামুখী “খান পরিবহন”-এর একটি বাস বিজিবি হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাচীর ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে যায়। এতে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। একই সঙ্গে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইককেও চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলচালক মাহফুজুর রহমান নিহত হন এবং বাসের তিন যাত্রী আহত হন। দুর্ঘটনার পর বাসচালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনাকবলিত বাস, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকটি জব্দ করে। আহতদের বিজিবি সদস্যরা উদ্ধার করে বর্ডার গার্ড হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে সদর হাসপাতালে পাঠান।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, “আহত তিনজনের মধ্যে তুহিন নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চলে গেছেন”।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, “দুর্ঘটনায় একজন যুবক মারা গেছেন এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। বাসচালক ও হেলপার পালিয়েছে। আমরা বাস, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক জব্দ করেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এএইচ
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















