০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদায় চারজনকে কুপিয়ে জখম, সবার অবস্থা আশংকাজনক

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদায় চারজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য চারজনকেই রেফার্ড করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গোবিন্দহুদায় গ্রামে এ ঘটনা৷

আহতরা হলেন, গোবিন্দহুদায় গ্রামের মণ্ডলপাড়ার মৃত. ঝড়ু মন্ডলের তিন ছেলে খাজা মণ্ডল (৫৫), জয়নুর রহমান (৫০), জাহির (৫০) ও খাজা মণ্ডলের ছেলে দিপু (১৮)।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাপলা খাতুন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, চারজনের শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ক্ষত হয়েছে৷ সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা কিংবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, নুরুল হক পেশকারের সঙ্গে আহতদের দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে আজ মাঠে চারজন কাজ করছিল। এ সময়, নরুল হক পেশকার, হকি, ইয়ান, আলী হোসেন, তারেখ, রোমান, আবিদ, নজির, বাবু, মিরাজুসহ ১০-১৫ জন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে চারজনকেই এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।

তারা আরও বলেন, সবার অবস্থা আশংকাজনক। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তির দাবি জানায়।

দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) হুমায়ুন কবীর রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

(আপডেট) এ ঘটনার পর বেলা পৌনে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়নুর রহমানের মৃত্যু হয়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গার মুন্সিপুর সীমান্তে স্বর্ণসহ চোরাকারবারি আটক

দামুড়হুদায় চারজনকে কুপিয়ে জখম, সবার অবস্থা আশংকাজনক

প্রকাশের সময় : ১১:১৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদায় চারজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য চারজনকেই রেফার্ড করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গোবিন্দহুদায় গ্রামে এ ঘটনা৷

আহতরা হলেন, গোবিন্দহুদায় গ্রামের মণ্ডলপাড়ার মৃত. ঝড়ু মন্ডলের তিন ছেলে খাজা মণ্ডল (৫৫), জয়নুর রহমান (৫০), জাহির (৫০) ও খাজা মণ্ডলের ছেলে দিপু (১৮)।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাপলা খাতুন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, চারজনের শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ক্ষত হয়েছে৷ সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা কিংবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, নুরুল হক পেশকারের সঙ্গে আহতদের দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে আজ মাঠে চারজন কাজ করছিল। এ সময়, নরুল হক পেশকার, হকি, ইয়ান, আলী হোসেন, তারেখ, রোমান, আবিদ, নজির, বাবু, মিরাজুসহ ১০-১৫ জন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে চারজনকেই এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।

তারা আরও বলেন, সবার অবস্থা আশংকাজনক। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তির দাবি জানায়।

দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) হুমায়ুন কবীর রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

(আপডেট) এ ঘটনার পর বেলা পৌনে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়নুর রহমানের মৃত্যু হয়।