চুয়াডাঙ্গা শহরের মাথাভাঙ্গা ব্রিজের অদূরে ফয়সাল হোসেন বিদ্যুৎ নামের এক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ফয়সালের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসক।

আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯ টার দিকে মাথাভাঙ্গা ব্রিজের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। ফয়সাল হোসেন বিদ্যুৎ চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) হোসেন আলী রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মাথাভাঙ্গা ব্রিজের অদূরে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। আমরা অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছি।
আরও পড়ুন
চুয়াডাঙ্গায় চুরি করে সরকারি গাছ কর্তন, ৩ ইউপি সদস্যসহ বিএনপি নেতার নামে মামলা
বিদ্যুতের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানায়, একটি ত্রিভুজ প্রেমঘটিত বিষয়ের মীমাংসা করেছিলেন বিদ্যুৎ। তবে মীমাংসার ফল বিপরীতে যাওয়ায় রাগান্বিত হয়ে একই এলাকার তিব্বত ওরফে মেন্টাল তমাল, আকাশ ও রবিনসহ কয়েকজন বিদ্যুৎকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়সাল ইকবাল বলেন, ‘কলেজ ছাত্রদলের এক কর্মীর প্রেমঘটিত বিষয়ের মীমাংসার জন্য বিদ্যুতের সঙ্গে বসেছিল দুটি পক্ষ। মীমাংসা মনঃপূত না হওয়ায় একই এলাকার আকাশ, মেন্টাল তমাল, রবিনসহ কয়েকজন তাকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে শুনেছি। এরা যুবলীগের কর্মীও ছিল। বিদ্যুৎ সবাইকে চেনে যারা তার ওপর হামলা চালিয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসাল্টেন্ট (সার্জারি) ডা. এহসানুল হক তন্ময় রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, মাথা, পিঠ, হাত সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের স্থানে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রধান করেছি। ক্ষতস্থানে সেলাই দেয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, রাত ১১টার দিকে আহত ফয়সাল হোসেনকে নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
এএইচ
4 thoughts on “চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিদ্যুৎকে কুপিয়ে জখম, রাজশাহী রেফার্ড”