চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পীরগঞ্জ শহীদ জিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল হকের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শনিবার (১ ডিসেম্বর) বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীর নাম তাসনিয়া জান্নাত মনি (১২)। সে পঞ্চম শ্রেনির শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীর বাবা সৌদি আরব প্রবাসী ইউসুফ জোয়ার্দ্দার রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আমার মেয়ে ছোট থেকেই নানান সমস্যায় ভুগছে। মাঝেমধ্যেই অচেতন হয়ে পড়ে। চিকিৎসাও চলছে। বেশিভাগ সময়ই মেয়েটা অসুস্থ থাকে। এমনকি বিদ্যালয়েও বেশ কয়েকবার সে অসুস্থ হয়ে অচেতন হবার ঘটনাও ঘটেছে। এরপরও আমার মেয়েকে বেধড়ক পিটিয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চিৎকার চেচামেচি করছিল। এ সময় আমার মেয়ে চুপচাপ বসে ছিল। ওই শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আমার নির্দোষ মেয়েকেও বেত দিয়ে মারধর করে। এতে আমার মেয়ের হাতের একটি আঙ্গুল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পূর্বেরও একই অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের মাত্রারিক্ত মারধর করেন তিনি। এর আগে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের কারণে তার চক্ষু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জেনেছি। আমি এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব, তার শাস্তির দাবি জানায়।
আরও পড়ুন
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিদ্যুৎকে কুপিয়ে জখম, রাজশাহী রেফার্ড
এ বিষয়ে জানতে পীরগঞ্জ শহীদ জিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল হক রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, তাসনিয়া জান্নাত মনি এই নামে কোন শিক্ষার্থীকে আমি মারধর করেনি। আমি এখন ক্লাসেই আছি, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমার সামনেই আছে। ফোনে থাকা অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন তিনি। উত্তরে ওই শিক্ষার্থী মারধরের বিষয়টি জানালে এরপরই শিক্ষক রেজাউল হক বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সামান্য মারধর করা হয়েছে। আমি এ বিষয়ে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলব।
এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহীন্দ্র কুমার মন্ডল রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, এই ঘটনাটি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখছি। ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এএইচ