চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ছাব্বির হোসেন (২৫) নামের এক ছাত্রদল নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজপাড়ার ফাস্ট ক্যাপিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিদ্যুৎকে কুপিয়ে জখম, রাজশাহী রেফার্ড
আহত ছাব্বির হোসেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য।
আহত ছাব্বির হোসেন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে অভিযোগ করে বলেন, আগামী ১ জানুয়ারি ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরেফিন আহম্মেদ শিপ্লব ভাইসহ আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আলোচনা করছিলাম। এ সময় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী ইসলামপাড়ার লাড্ডুর ছেলে নাইম, সারাফাতসহ আলো, মাহফুজ ও অজ্ঞাত আরও অনেকে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরেফিন আহম্মেদ শিপ্লব ভাইয়ের উপর অতর্কিত হামলার চেষ্টা করে।

তিনি আরও বলেন, এ সময় শিপ্লব ভাইকে কোনমতে রক্ষা করতে পারলেও তারা আমাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পরিবারের সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন ধারাল অস্ত্রের আঘাতে পায়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন ক্ষতস্থানে সেলাইসহ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি।
ছাব্বির হোসেন আরও বলেন, হামলাকারিরা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী ও দুর্ধর্ষ ক্যাডার। তাদের নামে একাধিক মামলা থাকলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে না। এ ঘটনার রাতেই সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
আরও পড়ুন
চুয়াডাঙ্গায় যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতাসহ ৫ জনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. খালিদ হাসান গণমাধ্যমকে জানান, ছাব্বিরের হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতস্থানে সেলাই শেষে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমানের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এএইচ