বজ্রপাতের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই উপজেলার পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১১ মে) বিকেল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
নিহতদের মধ্যে নাসিরনগর উপজেলায় তিনজন ও আখাউড়া উপজেলায় দুজন রয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, বজ্রপাতের সময় কৃষিকাজ ও মাঠে অবস্থানের সময়ই অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ
এছাড়া নাসিরনগরে বজ্রাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন হামিদা বেগম (৪০) নামের এক নারী। তার কণ্ঠনালি ঝলসে গেছে এবং তিনি বর্তমানে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
নাসিরনগরের হতাহতরা হলেন, চাঁনপুর গ্রামের কৃষি শ্রমিক আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), গোকর্ণ গ্রামের বাসিন্দা মো. শামসুল হুদা (৬৫), কচুয়া গ্রামের শিশু জাকিয়া (৭), ভলাকুট ইউনিয়ন দুর্গাপুর গ্রামের হামিদা বেগম (৪০),
আখাউড়ায় নিহতরা হলেন, রুটি গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়া (৬০) ও বনগজ গ্রামের যুবক জাকির খাঁ (২২)।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আবহাওয়া হঠাৎ রূপ পরিবর্তন এবং বজ্রপাতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আখাউড়ায় বজ্রাঘাতে দুটি গরুও মারা গেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন বলেন, এটি একটি হৃদয়বিদারক দিন। বজ্রপাতের সময় নিরাপদে থাকার বিষয়ে সচেতনতা আরও বাড়ানো জরুরি।
আখাউড়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন বলেন, বজ্রপাতের সময়ে খোলা মাঠে অবস্থান করায় এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। সচেতনতার অভাবকেও কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নাসিরনগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, নিহতদের পরিবারকে প্রশাসনিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
সুত্র – ঢাকা পোস্ট
এএইচ
রেডিও চুয়াডাঙ্গা ডেস্ক 

























