বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত আনিসুর রহমান আশিকের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন গ্রেপ্তার আসামি চুয়াডাঙ্গার দিলীপ কুমার আগারওয়াল।
সোমবার (৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিআরইউ সাগর-রুনি মিলনায়তনে আশিক হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তার পরিবার সদস্যরা। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এই মামলার আইনজীবী শাহরিয়ার হাসান জয়।
তাহমিনা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে বিপ্লব সাহা পরিচয় দিয়ে আসামি দিলীপ কুমার আগারওয়ালের নাম মামলা থেকে বাদ দিতে বলা হয়। দিলীপ কুমার আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সম্পাদক। তিনি রাজি না হওয়ায় দিলীপ কুমার ফোন করে ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নিতে বলেন। কিন্তু রাজি না হওয়ায় তাঁকে গালাগাল করেন এবং হুমকি দেন।
দিলীপ কুমার আগারওয়াল গত ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন। এরপর অসুস্থতা দেখিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছে আনিসুর রহমানের পরিবার।
তাহমিনা আক্তার আরও বলেন, মামলার আরেক আসামি শ্রমিক লীগ নেতা আওরঙ্গজেব সিদ্দিক নান্নু। তাঁর কথিত বোন পরিচয় দিয়ে জোবাইদা ইসলাম নামের এক নারী ফোন করে মামলা থেকে তাঁর নাম বাদ দিতে বলেন। রাজি না হওয়ায় উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন।
জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে জোবাইদা ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আওরঙ্গজেব সিদ্দিক তাঁর কাছের ভাই। তিনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (রাউজক) চাকরি করেন। তিনি শ্রমিক দলের সদস্য, শ্রমিক লীগ নেতা নন। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা দেওয়া হয়েছে।
অপর দিকে দিলীপ কুমার আগারওয়াল পরিচয় দিয়ে যে মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেই নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
তাহমিনা আক্তার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত অধিকাংশ আসামি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। পলাতক ও কারাগারে থাকা আসামিদের হুমকিতে তিনি ও তাঁর পরিবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অবিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তার ও অন্য মামলায় কারাগারে থাকা আসামিদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত আশিকের পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে তার বোন তাহামিনার প্রধান উপদেষ্টার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।
সুত্র : দৈনিক প্রথম আলো ও দৈনিক সমকাল
এএইচ