স্বপ্ন ছিলো দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার। একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হয়ে মায়ের মুখে হাসি ফোটানোর। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস চুয়াডাঙ্গার প্রতিভাবান তরুণ আল হাসিব খান তোহা আজ জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে।
তোহা চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিনেমা হল পাড়ার মরহুম আব্দুর রহমান খান মিঠুর একমাত্র ছেলে। দুই ভাই বোনের মধ্যে তোহা ছোট।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সে। মাত্র দুই মাস পরই তার গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে সে ইন্টার্নশীপে কর্মরত। তোহার শিক্ষাজীবন শুরু হয় চুয়াডাঙ্গা ভি.জে স্কুলে। যেখানে সে নিয়মিত প্রথম সারির ছাত্র হিসেবে সকলের দৃষ্টি কাড়ে।
২০১৭ সালে মাধ্যমিক এবং ২০১৯ সালে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে। এসএসসি এবং এইচএসসি দুটো ক্ষেত্রেই তোহা জিপিএ-৫ অর্জন করে। তারপর সে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বাংলাদেশের সরকারি একমাত্র টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় বুটেক্সে ভর্তির সুযোগ পায়, যা তার পরিবারের জন্য ছিল গর্বের বিষয়।
তবে এই গর্বের পেছনে ছিল অনেক কষ্ট আর ত্যাগের গল্প। প্রায় বছর সাতেক আগে তোহা তার বাবাকে হারায়; তখন সে দশম শ্রেণিতে পড়তো। বাবাকে হারিয়ে তখন থেকেই অসহায় মায়ের তোহা হয়ে ওঠে পরিবারের একমাত্র ভরসা। নিজের পড়ালেখার খরচ, সংসারের খরচ, এমনকি মায়ের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে শুরু করে টিউশনি। নিজের স্বপ্ন আর পরিবারের দায়িত্ব একসাথে বহন করছিল সে।
কিন্তু সেই তোহাই আজ দুরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। গত ৫ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে ভর্তি থাকা তোহার শরীরে প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে প্লাটিলেট। প্রতিদিনই তাকে দিতে হচ্ছে একাধিক ব্যাগ রক্ত।
চিকিৎসকদের মতে, তোহার সম্পূর্ণ সুস্থতার জন্য প্রয়োজন এখনও প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা যা এই পরিবারটির পক্ষে জোগাড় করা সম্পূর্ণ অসম্ভব। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। তার মা নিজেও দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। ছেলের এই বিপদে তাই মায়ের কাছে এতদিন গোপন রাখা হয়েছিল। কিন্তু এখন জানার পর থেকে মানসিকভাবে প্রচুর ভেঙে পড়েছেন তিনি। অনেকটা হয়ে পড়েছেন বাকরুদ্ধ, নির্বিকার। তোহার একটি বড় বোন রয়েছে, যিনি বিবাহিত।
এছাড়া পরিবারের অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন সার্বক্ষণিক তোহার পাশে থাকলেও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে তোহার চিকিৎসাতে পুরোপুরি ভাবে সাহায্য করতে পারছে না। তোহার স্বপ্ন, তার মায়ের আশা, তার পরিবারের ভবিষ্যৎ সবকিছু এখন সমাজের বিত্তবানদের তথা সকলের সম্মিলিত সাহায্যের ওপর নির্ভর করছে। একটি তরুণ মেধাবী জীবনকে বাঁচাতে তাই সকলের সহযোগিতার হাত, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই তৈরি হতে পারে তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পথ। আপনার সাহায্যই তোহাকে ফিরিয়ে আনতে পারে তার স্বপ্নের পথে, অসহায় মায়ের কোলে।
তোহার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন একটি প্রাণ, একটি মায়ের কোল বাঁচাতে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:
অ্যাকাউন্টের তথ্য:
Md. Maruf Hossain, The City Bank Ltd, A/C: 2302484260001
Md. Maruf Hossain, AB Bank PLC, A/C: 1111243712300
Bkash/Nagad: 01716200906
আজ যে ছেলেটি বাঁচার জন্য হাত বাড়িয়েছে, সে একদিন সমাজকে আলোকিত করতো শুধু আপনাদের একটু সহানুভূতি, একটু সহযোগিতা তাকে ফিরিয়ে দিতে পারে সেই পথেই। এখনই সময় এগিয়ে আসার। তোহার জীবন যেন থেমে না যায় আপনার সাহায্যেই সে আবার স্বপ্ন দেখতে শিখুক।
এএইচ