চুয়াডাঙ্গায় নিজের কিশোরী মেয়েকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে পিতা আলতাপ হোসেনকে (৪৬) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলতাপ হোসেন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী গ্রামের বাসিন্দা। ২০০৮ সালে বিয়ের পর থেকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে ওই কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক দিন পর স্বামীর বাড়িতে তার পেটে ব্যথা ও বমি বমি অনুভূত হয়। এরপর তাঁর স্বামী স্থানীয়ভাবে চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষার পর জানতে পারেন যে তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। পরে জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী তার মাকে জানায় জোরপূর্বক তার বাবা তাঁকে ধর্ষণ করেন।
এরপরই ২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী ২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপরই আসামীর উপস্থিতি সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক এই ফাঁসির আদেশ দেন।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউট এম এম শাহজাহান মুকুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিজ মেয়েকে ধর্ষণের সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় পিতাকে মৃত্যুদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহন করেন আদালত। রায়ের সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এএইচ