০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির জনসভা

আল্লাহর রহমতে আগামীর সরকার হবে বিএনপির : আমান 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। তারেক রহমান যেটা বলেছেন ঐক্য ঐক্য ঐক্য, ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচন করবেন ইনশাআল্লাহ। দেখবেন আল্লাহর রহমতে আগামীর সরকার হবে খালেদা জিয়ার সরকার, সরকার হবে তারেক রহমানের সরকার, আগামীর সরকার হবে বিএনপির সরকার, আগামীর সরকার হবে আপনাদের সরকার। সেই সরকারকে সামনে রেখে আপনারা কাজ করবেন।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, দীর্ঘ ছয়টি বছর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা হয়েছিল মিথ্যা মামলায়। সেই বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করে শেখ হাসিনা কী করেছে? অসুস্থ করে ফেলেছে। শেখ হাসিনা কিনা করতে পারে। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। এই ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা হত্যার দায়ে শেখ হাসিনা ও দোসরদের ৫৭ বার ফাঁসি হবে। কেউ ঠেকায়ে রাখতে পারবে না। শুধু তাই নয়, ইলিয়াস আলী গুম হয়েছে। আজকে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। আগামীতে এই বিচার হচ্ছে, এই বিচারে শেখ হাসিনার কতবার ফাঁসি হয় তার কিন্তু হিসেব-নিকেস নেই। শুধু শেখ হাসিনাই নয়, তার দোসরদেরও বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলছিল না শেখ মুজিবের মেয়ে পালায় না, আওয়ামী লীগ পালায় না। কোথায় এখন তারা। পালাইছে কিনা বলেন (কর্মীদের উদ্দেশে) একদম গুষ্টিসহ পালাইছে। বাংলাদেশের মাটিতে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের কোনো জায়গা হবে না। জায়গা দেবে না বাংলাদেশের মানুষ, কোনো দিন দেবে না।

আমান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে এসে আপনাদের নেতৃত্ব দেবেন, আর নির্বাচন করবেন। দেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে।

তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছে। আমার ভাই ছাত্রনেতা ইলিয়াস আলী গুম হয়েছে, চৌধুরী আলম গুম হয়েছে, সুমন গুম হয়েছে, আর আপনারা মিথ্যা মামলা খেয়েছেন। আপনারা জেল খেটেছেন। আপনারা কষ্ট করেছেন আর এই কষ্টের ফসল ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা পেলাম নতুন বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছে। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।

জনসভায় প্রধান বক্তা বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেন, একটি কথা যখন শুনি এক শ্রেণীর নিন্দুকেরা বলার চেষ্টা করেন ২০২৪ সালের জুলাই এবং আগস্ট মাসের যে গণআন্দোলন, এই আন্দোলনে নাকি বিএনপি’র কোন ভূমিকা নাই। এই আন্দোলনে নাকি তারেক রহমানের ভূমিকা নাই। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকার যখন তোমাদের দাবি মেনে নিয়েছিল, এবং তোমাদেরকে মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে হারুন আঙ্কেলের হোটেলে বন্দি করে রেখেছিল তখন এক তারেক রহমান ছাড়া বাংলাদেশের কোন নেতা তোমাদের জন্য কথা বলে নাই। তোমরা যখন আস্তে আস্তে মাঠ ছেড়ে দিয়েছিলে তখন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, বিএনপি’র নেতা কর্মী ভাইয়েরা আমাদের ব্যানার ট্যাগ করে সাধারণ মানুষের ব্যানারে আন্দোলন করে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আট দফার আন্দোলনকে আমরা এক দফায় পরিণত করেছিলাম। সুতরাং যে সমস্ত লোভী মানুষ ক্ষমতায় যাওয়ার হিংসায় তারেক রহমানের ভূমিকাকে অস্বীকার করে তারা মূলত ওই বখাটে সন্তানের মত পিতার ভূমিকাকে অস্বীকার করছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফের সঞ্চালনায় জনসভায় সভাপতিত্বে করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় রেললাইনের উপর ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বৃদ্ধ, ট্রেনের ধাক্কায় মৃ ত্যু 

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির জনসভা

আল্লাহর রহমতে আগামীর সরকার হবে বিএনপির : আমান 

প্রকাশের সময় : ০৭:১৯:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। তারেক রহমান যেটা বলেছেন ঐক্য ঐক্য ঐক্য, ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচন করবেন ইনশাআল্লাহ। দেখবেন আল্লাহর রহমতে আগামীর সরকার হবে খালেদা জিয়ার সরকার, সরকার হবে তারেক রহমানের সরকার, আগামীর সরকার হবে বিএনপির সরকার, আগামীর সরকার হবে আপনাদের সরকার। সেই সরকারকে সামনে রেখে আপনারা কাজ করবেন।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, দীর্ঘ ছয়টি বছর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা হয়েছিল মিথ্যা মামলায়। সেই বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করে শেখ হাসিনা কী করেছে? অসুস্থ করে ফেলেছে। শেখ হাসিনা কিনা করতে পারে। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। এই ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা হত্যার দায়ে শেখ হাসিনা ও দোসরদের ৫৭ বার ফাঁসি হবে। কেউ ঠেকায়ে রাখতে পারবে না। শুধু তাই নয়, ইলিয়াস আলী গুম হয়েছে। আজকে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। আগামীতে এই বিচার হচ্ছে, এই বিচারে শেখ হাসিনার কতবার ফাঁসি হয় তার কিন্তু হিসেব-নিকেস নেই। শুধু শেখ হাসিনাই নয়, তার দোসরদেরও বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলছিল না শেখ মুজিবের মেয়ে পালায় না, আওয়ামী লীগ পালায় না। কোথায় এখন তারা। পালাইছে কিনা বলেন (কর্মীদের উদ্দেশে) একদম গুষ্টিসহ পালাইছে। বাংলাদেশের মাটিতে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের কোনো জায়গা হবে না। জায়গা দেবে না বাংলাদেশের মানুষ, কোনো দিন দেবে না।

আমান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে এসে আপনাদের নেতৃত্ব দেবেন, আর নির্বাচন করবেন। দেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে।

তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছে। আমার ভাই ছাত্রনেতা ইলিয়াস আলী গুম হয়েছে, চৌধুরী আলম গুম হয়েছে, সুমন গুম হয়েছে, আর আপনারা মিথ্যা মামলা খেয়েছেন। আপনারা জেল খেটেছেন। আপনারা কষ্ট করেছেন আর এই কষ্টের ফসল ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা পেলাম নতুন বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছে। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।

জনসভায় প্রধান বক্তা বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেন, একটি কথা যখন শুনি এক শ্রেণীর নিন্দুকেরা বলার চেষ্টা করেন ২০২৪ সালের জুলাই এবং আগস্ট মাসের যে গণআন্দোলন, এই আন্দোলনে নাকি বিএনপি’র কোন ভূমিকা নাই। এই আন্দোলনে নাকি তারেক রহমানের ভূমিকা নাই। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকার যখন তোমাদের দাবি মেনে নিয়েছিল, এবং তোমাদেরকে মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে হারুন আঙ্কেলের হোটেলে বন্দি করে রেখেছিল তখন এক তারেক রহমান ছাড়া বাংলাদেশের কোন নেতা তোমাদের জন্য কথা বলে নাই। তোমরা যখন আস্তে আস্তে মাঠ ছেড়ে দিয়েছিলে তখন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, বিএনপি’র নেতা কর্মী ভাইয়েরা আমাদের ব্যানার ট্যাগ করে সাধারণ মানুষের ব্যানারে আন্দোলন করে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আট দফার আন্দোলনকে আমরা এক দফায় পরিণত করেছিলাম। সুতরাং যে সমস্ত লোভী মানুষ ক্ষমতায় যাওয়ার হিংসায় তারেক রহমানের ভূমিকাকে অস্বীকার করে তারা মূলত ওই বখাটে সন্তানের মত পিতার ভূমিকাকে অস্বীকার করছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফের সঞ্চালনায় জনসভায় সভাপতিত্বে করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।