চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ায় রবিউল ইসলাম (৩০) নামের এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রবিউলকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। পরে চিকিৎসক ক্ষতস্থানে সেলাই শেষে ভর্তি করে সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠান।
আহত রবিউল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার ফারুক হোসেন ছেলে। তিনি যুবলীগ কর্মী বলে প্রশাসনের একটি সুত্র থেকে রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়োজিত সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোমিন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সাড়ে ৮টার দিকে আহত অবস্থার রবিউলকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।
আরও পড়ুন
চুয়াডাঙ্গা শহরে দু’পক্ষের অস্ত্রের মহড়া-সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা মিলনকে কুপিয়ে জখম
এর আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শহরের ফার্মপাড়ায় গত দুদিন যাবত দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গতকাল রোববার (০৮ ডিসেম্বর) রাতে রেল স্টেশন সংলগ্ন রেল কলোনী এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ এবং দেশীয় অস্ত্রের মহড়ার ঘটনা ঘটে। এতে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হন চুয়াডাঙ্গা পৌর ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিলন হোসেন (৪৯)।
অপর একটি পক্ষ জানিয়েছে, গত ৫ ডিসেম্বর ফার্মপাড়ার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হুমকি ধামকি দেয়ার অভিযোগে যুবলীগ নেতা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা মামলার আসামী জনিকে গণধোলাই দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। জনিকে প্রশাসনের কাছে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জেরে এ ঘটনার সুত্রপাত্র।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, রবিউল ইসলাম নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে বলে জেনেছি। মূলত দুপক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সুত্রপাত। অভিযোগ বা মামলা করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এএইচ
2 thoughts on “চুয়াডাঙ্গার ফার্মপাড়ার যুবলীগ কর্মী রবিউলকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত”