চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে পিতা-পুত্রসহ উভয়পক্ষে তিনজন আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর মোড়ে গ্রামীনফোন টাওয়ারের নিকট এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের খালপাড়ার শহিদুল মোল্লা (৫৫) ও তার ছেলে সোহাগ (৩৫)। অপরপক্ষের আহত শহিদুল মোল্লার ভাই আসাদ মোল্লা।
জানা গেছে, পৈতৃক জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। অভিযোগ আছে সম্প্রতি শহিদুল মোল্লা নিজের গায়ের জোরে শরিকানা জমি দখল করে নির্মাণকাজ করছিলেন। এ নিয়ে শুক্রবার সকালে অপর ভাই আসাদ মোল্লা প্রতিবাদ করায় উভয়পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়।
আরও পড়ুন
দামুড়হুদায় পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ
একপর্যায়ে শহিদুল মোল্লা ও তার ছেলে সোহাগ আসাদকে মারধর করে ও হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। পরে আসাদও উত্তেজিত হয়ে হাসুয়া দিয়ে পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজনরা তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শিপন নামে এক স্বজন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শহিদুল মোল্লা ও তার ছেলে সোহাগ মোল্লাকে কুপিয়েছে আসাদ মোল্লা। এবং আসাদ মোল্লাকেও মারধর করা হয়েছে, মাথায় হাতুড়ির আঘাত করা হয়েছে। পিতা-পুত্রের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে দ্রুত সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। আসাদও সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে সেখান থেকে অন্য কোথাও চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জেনেছি। এছাড়া চিকিৎসক পিতা-পুত্রকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে রেফার্ড করেছেন।
এ বিষয়ে কোন অভিযোগ বা মামলা হয়েছে কিনা জানতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেনের সরকারি নাম্বারে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
এএইচ