০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়িতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি 

খাগড়াছড়ি শহরে একদিনের ব্যবধানে ফের তলিয়ে গেছে নিচু এলাকাগুলোর ঘরবাড়ি।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভোর থেকে পানি প্রবেশ করতে থাকে লোকালয়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দারা।

জেলা সদরের গঞ্জপাড়া, অপর্ণা চৌধুরী পাড়া, শব্দ মিয়া পাড়া, শান্তিনগর, মুসলিমপাড়া, রাজ্যমনি পাড়া, কালাডেবা, বটতলী, ফুটবিল এলাকার নিচু এলাকায় পানি উঠেছে। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙ্গামাটি, লংগদু ও সাজেকের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

অতিবৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোথাও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার আমতলী ইউনিয়নে পানির স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি মাটির ঘর। তবলছড়ি, তাইন্দং ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পুকুর তলিয়ে গেছে। জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উৎপাদিত ফসলের।

পানির স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার প্রতিটি উপজেলার সড়ক। মহালছড়ি উপজেলার সিঙ্গিনালা গ্রামের কাপ্তাই পাড়া এলাকায় সেতুর সঙ্গে সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে পানির তোড়ে।

জেলার দীঘিনালা উপজেলার কবাখালি, মেরুং ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, জেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় জেলায় কর্মরত সকল দফতরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে নিজ নিজ দফতরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে ৬ কেজি গাজাসহ দুজন আটক

ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়িতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি 

প্রকাশের সময় : ১১:০০:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

খাগড়াছড়ি শহরে একদিনের ব্যবধানে ফের তলিয়ে গেছে নিচু এলাকাগুলোর ঘরবাড়ি।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভোর থেকে পানি প্রবেশ করতে থাকে লোকালয়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দারা।

জেলা সদরের গঞ্জপাড়া, অপর্ণা চৌধুরী পাড়া, শব্দ মিয়া পাড়া, শান্তিনগর, মুসলিমপাড়া, রাজ্যমনি পাড়া, কালাডেবা, বটতলী, ফুটবিল এলাকার নিচু এলাকায় পানি উঠেছে। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙ্গামাটি, লংগদু ও সাজেকের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

অতিবৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোথাও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার আমতলী ইউনিয়নে পানির স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি মাটির ঘর। তবলছড়ি, তাইন্দং ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পুকুর তলিয়ে গেছে। জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উৎপাদিত ফসলের।

পানির স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার প্রতিটি উপজেলার সড়ক। মহালছড়ি উপজেলার সিঙ্গিনালা গ্রামের কাপ্তাই পাড়া এলাকায় সেতুর সঙ্গে সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে পানির তোড়ে।

জেলার দীঘিনালা উপজেলার কবাখালি, মেরুং ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, জেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় জেলায় কর্মরত সকল দফতরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে নিজ নিজ দফতরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।