চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় উপজেলার দশমীপাড়ার স্কুলছাত্র মাহাফুজ আলম সজিবকে (১৫) অপহরণের পর হত্যা মামলায় একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
মাহাফুল আলম সজিব দামুড়হুদায় উপজেলার দশমীপাড়ার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। সে চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের (বর্তমানে ‘ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়’) অষ্টম শ্রেনির ছাত্র ছিল।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ -২ আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করেন।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন হাসু রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মামুন চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
এ হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ৬ জন আসামীর মধ্যে তিনজন র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহন হন৷ এছাড়া অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় দুজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে৷

স্কুলছাত্র মাহাফুজ আলম সজিবের ফাইল ছবি
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলা চত্বরে অনুষ্ঠিত কৃষি মেলা থেকে এজাহারনামীয় আসামীরা মাহাফুজ আলম সজিবকে অপহরণ করেন। পরদিন অপহরণকারীরা সজিবের মোবাইল নাম্বার থেকে তার মায়ের নিকট ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই বছরের ৩১ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা শহরের সিঅ্যাণ্ডবি পাড়ার কুরবান আলীর বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে স্কুলছাত্র সজিবের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৬) সদস্যরা।
এ ঘটনার পর ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর নিহত সজিবের মামা আব্দুল হালিম বাদি হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই বছরেই এজাহার নামীয় আসামী রাকিবুল ইসলাম, সবুজ মিয়া ও শাকিল র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। আসামী আলমগীর ও পিনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা তৎকালীন দামুড়হুদা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার দুপুরে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন হাসু রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া আগামী সাতদিনের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন।
এএইচ