চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মোক্তারপুরে বিষপানের সাতদিনের মাথায় রুপালী খাতুন (৩৬) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৬ জুলাই) ময়নাতদন্ত শেষে রুপালী খাতুনের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে নিজ পিতার বাড়ি উপজেলার বাঁকা গ্রামে মারা যায় রুপালি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন এবং মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য
রুপালী খাতুন জীবননগর উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামের রোকনের স্ত্রী ও একই উপজেলার বাঁকা গ্রামের শামসুল হকের মেয়ে। তিনি তিন সন্তানের জননী ছিলেন।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, রুপালি খাতুনের সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে প্রায় মনোমালিন্য হয়। গত ১৮ জুলাই বিকেলে সবার অজান্তেই স্বামীর বাড়িতে ঘাষপোড়া বিষপান করেন রুপালী খাতুন। পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পেলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। সেই দিনই চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। আবার যশোর থেকে ঢাকায় রেফার্ড করলেও পরিবারের সদস্যরা পিতার বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার ২৫ জুলাই বেলা ১২ টার দিকে নিজ পিতার বাড়ীতে মারা যায় রুপালী খাতুন।
অপরদিকে, রুপালী খাতুনের মৃত্যুর খবর পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশের একটি দল মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। গতকাল শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিহত রুপালী খাতুনের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুরকারী কর্মকর্তা জীবননগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, রুপালী খাতুনের সংসারে অভাব অনটনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন বলে স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। তবুও মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফাহিম/এএইচ