চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলায় দুই নারী-পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন।

শনিবার (১৩ জুলাই) ময়নাতদন্ত শেষে দুজনের দুজনের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় পরিবারের উপর অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বাবুল মন্ডল (৩০) নামে এক যুবক। শনিবার দুপুর ১ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান তিনি।

নিহত বাবুল মন্ডল চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের মিশনপাড়ার মাইকেল মন্ডলের ছেলে৷ তিনি পেশায় ইজিবাইক চালক ছিলেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে বাবুল মন্ডলের মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এতে পরিবারের উপর অভিমান করে বিষপান করেন বাবুল মন্ডল। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে গতকাল শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আলমগীর কবির রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।

অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পুরাতন চাকলা গ্রামে বৃষ্টি খাতুন (২১) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

বৃষ্টি খাতুন উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের খাসপাড়া গ্রামের বাবর আলীর মেয়ে। এবং একই উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পুরাতন চাকলা গ্রামের শহিদুলের ছেলে সুমনের (২৪) স্ত্রী।

পরিবারের সদস্যরা জানান, বেশ কয়েকদিন যাবত বৃষ্টি খাতুনের দাঁত ও পেটের ব্যাথায় ভুগছিলেন। এরমধ্যে স্বামীর সঙ্গে কোন কারণে মনোমালিন্য হয়। গতকাল ভোরে পরিবারের সদস্যরা ঝুলন্ত অবস্থায় বৃষ্টি খাতুনকে দেখতে পায়। সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

বৃষ্টি খাতুনের মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা রায়পুর পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

এএইচ