চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেছেন, ভোক্তা এবং বিক্রেতা উভয়কে সচেতন হতে হবে। প্রথমে নিজেকে সচেতন করতে হবে। পরে আশপাশের মানুষকে সচেতন করতে হবে। খাদ্যে ভেজাল কিংবা অস্বাস্থ্যকর বিষয়গুলো আগের চেয়ে অনেক কমে এসেছে। মানুষ তাদের অধিকার বুঝতে শিখেছে এবং প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পেয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ করার জন্য সচেতনতার পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ দরকার।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসন ডা. কিসিঞ্জার চাকমা।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)।
এর আগে সেমিনারের শুরুতেই প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আজাদ মালিতা, দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গা সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব অ্যাড. মানিক আকবর, জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি মঞ্জুরুল আলম মালিক লার্জ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের জগলু, সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসন আরও বলেন, যারা খাদ্যদ্রব্য তৈরি করছে, তারাও ভোক্তা। সুতরাং তাদেরও ভোক্তার অধিকারের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। সভায় গরুর মাংসের প্রসঙ্গ উঠলে জেলা প্রশাসক বলেন, পৌরসভা এবং স্থানীয় সরকারের অনেক ক্ষমতা আইনে দেয়া আছে। আপনারা চেষ্টা করলে অনেক কিছু করতে পারবেন। নিজেরা সতর্ক থাকব, অন্যকে আমরা সতর্ক করব।
সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা বলেন, সরকার উন্নত দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের জনগণের জন্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের বিষয়ে অধিক মনোযোগী। এই লক্ষ্যে সরকার ২০০৯ সালে ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯’ প্রণয়ন ও আইনের সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। উন্নত নাগরিক জীবনের অন্যতম সূচক হচ্ছে নিরাপদ পণ্য ও উন্নত পরিসেবা পাওয়ার অধিকার।
এএইচ