০৪:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশেষ মুহুর্তে পুলিশ সদস্যের গোপনাঙ্গ কেটে দিলেন সাবেক স্ত্রী!

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে নড়াইল শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।

এরপর নিজেই আহত অবস্থায় ওই পুলিশ সদস্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ইমদাদুল হক নড়াইলের লোহাগাড়া উপজেলার আমদা গ্রামের বজলেয়ার হকের ছেলে। পুলিশের নায়েক পদে তিনি যশোর পুলিশ লাইন্সে কর্মরত।

আহত পুলিশ সদস্য ইমদাদুল হক জানান, ডলি নামে তার একজন স্ত্রী ছিল। সম্প্রতি তার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তাকে নিয়েই মঙ্গলবার সকালে তিনি নড়াইলে যান। দুপুরের দিকে নড়াইল শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার একটি হোটেলে ওঠেন। দুপুরের খাবারের পর তারা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে অন্তরঙ্গ হলে একপর্যায়ে ডলি ব্লেড দিয়ে তার গোপনাঙ্গে আঘাত করেন। এরপর তিনি ওই অবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে যান। সেখান থেকে ব্যান্ডেজ করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে এসে ভর্তি হন।

ইমদাদুল হকের প্রথম স্ত্রী আফরিন সুলতানা মিম দ্বিতীয় স্ত্রীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুস সামাদ জানান, ইমদাদুল হকের গোপনাঙ্গের বেশিরভাগই কেটে গেছে। সেলাই করা হয়েছে। তবে অঙ্গটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে ঘটনাটি শুনেছেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সাংসারিক গোলযোগের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখানে আমাদের করণীয় কিছু নেই।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে ৬ কেজি গাজাসহ দুজন আটক

বিশেষ মুহুর্তে পুলিশ সদস্যের গোপনাঙ্গ কেটে দিলেন সাবেক স্ত্রী!

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে নড়াইল শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।

এরপর নিজেই আহত অবস্থায় ওই পুলিশ সদস্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ইমদাদুল হক নড়াইলের লোহাগাড়া উপজেলার আমদা গ্রামের বজলেয়ার হকের ছেলে। পুলিশের নায়েক পদে তিনি যশোর পুলিশ লাইন্সে কর্মরত।

আহত পুলিশ সদস্য ইমদাদুল হক জানান, ডলি নামে তার একজন স্ত্রী ছিল। সম্প্রতি তার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তাকে নিয়েই মঙ্গলবার সকালে তিনি নড়াইলে যান। দুপুরের দিকে নড়াইল শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার একটি হোটেলে ওঠেন। দুপুরের খাবারের পর তারা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে অন্তরঙ্গ হলে একপর্যায়ে ডলি ব্লেড দিয়ে তার গোপনাঙ্গে আঘাত করেন। এরপর তিনি ওই অবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে যান। সেখান থেকে ব্যান্ডেজ করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে এসে ভর্তি হন।

ইমদাদুল হকের প্রথম স্ত্রী আফরিন সুলতানা মিম দ্বিতীয় স্ত্রীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুস সামাদ জানান, ইমদাদুল হকের গোপনাঙ্গের বেশিরভাগই কেটে গেছে। সেলাই করা হয়েছে। তবে অঙ্গটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে ঘটনাটি শুনেছেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সাংসারিক গোলযোগের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখানে আমাদের করণীয় কিছু নেই।