০৭:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার হাতিকাটা আবাসন থেকে কিশোরী আলমিনার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আলমিনা খাতুন হাতিকাটা আবাসনের আলামিনের মেয়ে। পরিবারের দাবি, মাথায় সমস্যাজনিত কারণে আলমিনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

পরিবারের সদস্যরা জানায়, রাতে আলমিনা বাড়িতে একা ছিল। বাবা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে এবং মা বাড়ির বাইরে ছিল। বাবা-মা বাড়ি ফিরে দেখেন ভিতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ। মেয়েকে ডাকলেও কোন সাড়া শব্দ নেই। পরে দরজা ভেঙ্গে আলমিনার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

আলমিনার বাবা আলামিন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, অষ্টম শ্রেনি পর্যন্ত মেয়ে পড়াশোনা করেছে। মহামারি করোনার পর থেকে আর পড়েনি। মেয়ের মাথায় সমস্যা ছিল। চিকিৎসককে না দেখালেও কবিরাজি চিকিৎসা করাতাম। আজ আমি আমার স্ত্রী কেউ বাড়িতে ছিলনা। এসময় মেয়ে নিজেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিবারের সদস্যরা আলমিনা খাতুনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলি রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় মা ক্লিনিকের নার্স বিপাশার লা শ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার হাতিকাটা আবাসন থেকে কিশোরী আলমিনার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০৯:৩০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আলমিনা খাতুন হাতিকাটা আবাসনের আলামিনের মেয়ে। পরিবারের দাবি, মাথায় সমস্যাজনিত কারণে আলমিনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

পরিবারের সদস্যরা জানায়, রাতে আলমিনা বাড়িতে একা ছিল। বাবা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে এবং মা বাড়ির বাইরে ছিল। বাবা-মা বাড়ি ফিরে দেখেন ভিতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ। মেয়েকে ডাকলেও কোন সাড়া শব্দ নেই। পরে দরজা ভেঙ্গে আলমিনার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

আলমিনার বাবা আলামিন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, অষ্টম শ্রেনি পর্যন্ত মেয়ে পড়াশোনা করেছে। মহামারি করোনার পর থেকে আর পড়েনি। মেয়ের মাথায় সমস্যা ছিল। চিকিৎসককে না দেখালেও কবিরাজি চিকিৎসা করাতাম। আজ আমি আমার স্ত্রী কেউ বাড়িতে ছিলনা। এসময় মেয়ে নিজেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিবারের সদস্যরা আলমিনা খাতুনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলি রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।