১০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত এসআই সুকান্ত গ্রেপ্তার, জেল হাজতে প্রেরণ

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার আসামী পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এসআই সুকান্ত কুমার দাসকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেন। পরে বিজ্ঞ আদালত জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

সুকান্ত কুমার দাস বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশে কর্মরত।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খুলনা সদর থানা থেকে মামলার অধিযাচন পত্র চুয়াডাঙ্গা সদর থানাকে অবহিত করলে আসামী সুকান্তকে জানানো হয়৷ পরে তিনি স্বেচ্ছায় সদর থানায় আসেন৷ পরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে প্রেরণ করা হয়৷ পরে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন৷

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকা থেকে এসআই সুকান্ত দাসকে মারধর করে খানজাহান আলী থানা পুলিশের কাছে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতেই তাকে ছেড়ে দেয় খানজাহান আলী থানা পুলিশ। এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর নিপীড়ন ও গণগ্রেপ্তার চালানোর অভিযোগ ছিল। অভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা হয়।

পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পরও এসআই সুকান্ত দাশকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার দুপুর থেকে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে তারা কেএমপি সদর দপ্তরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। রাত সাড়ে ৯টায় ছাত্ররা চলে গেলে তালা ভেঙে কার্যালয় থেকে বের হন পুলিশ কর্মকর্তারা। তবে বুধবার বিকেলে ফের কেএমপি ঘেরাও করে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

সব শেষ, এসআই সুকান্তকে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপার্দ করার পর ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল ৪টা থেকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে কেএমপি ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র-জনতা।
খানজাহান আলী সড়কে কেএমপির সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় ছাত্র-জনতা কেএমপির সামনের সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

ঢাকায় ডুসাকের শিক্ষাবৃত্তি ও নবীনবরণ অনুষ্ঠান: চুয়াডাঙ্গার ৭০ শিক্ষার্থী পেলেন মেধাবৃত্তি

চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত এসআই সুকান্ত গ্রেপ্তার, জেল হাজতে প্রেরণ

প্রকাশের সময় : ০৭:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার আসামী পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এসআই সুকান্ত কুমার দাসকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেন। পরে বিজ্ঞ আদালত জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

সুকান্ত কুমার দাস বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশে কর্মরত।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খুলনা সদর থানা থেকে মামলার অধিযাচন পত্র চুয়াডাঙ্গা সদর থানাকে অবহিত করলে আসামী সুকান্তকে জানানো হয়৷ পরে তিনি স্বেচ্ছায় সদর থানায় আসেন৷ পরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে প্রেরণ করা হয়৷ পরে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন৷

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকা থেকে এসআই সুকান্ত দাসকে মারধর করে খানজাহান আলী থানা পুলিশের কাছে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতেই তাকে ছেড়ে দেয় খানজাহান আলী থানা পুলিশ। এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর নিপীড়ন ও গণগ্রেপ্তার চালানোর অভিযোগ ছিল। অভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা হয়।

পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পরও এসআই সুকান্ত দাশকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার দুপুর থেকে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে তারা কেএমপি সদর দপ্তরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। রাত সাড়ে ৯টায় ছাত্ররা চলে গেলে তালা ভেঙে কার্যালয় থেকে বের হন পুলিশ কর্মকর্তারা। তবে বুধবার বিকেলে ফের কেএমপি ঘেরাও করে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

সব শেষ, এসআই সুকান্তকে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপার্দ করার পর ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল ৪টা থেকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে কেএমপি ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র-জনতা।
খানজাহান আলী সড়কে কেএমপির সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় ছাত্র-জনতা কেএমপির সামনের সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।