চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় কৃষকের প্রণোদনার সার গুদামজাত করে রাখার দায়ে মোশাররফ হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (০১ মে) সন্ধার পর উপজেলার কুড়ুলগাছী বাজারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অধিদপ্তর। গুদাম থেকে কৃষকের প্রণোদনার ৭ বস্তা ডিএপি ও ৭ বস্তা পটাশ সার উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে এইচ এম তাসফিকুর রহমান। সহযোগিতায় ছিলেন, কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল।
অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন কুড়ুলগাছি গ্রামের নজরুলের ছেলে এবং কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীনের পালিত মেয়ে জামাতা।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধার পর কুড়ুলগাছি বাজারে শরিফ ব্যাকারির গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। সেখানে সরকারি ১৪ বস্তা সার জব্দ করা হয়। গোডাউনের নিয়ন্ত্রণকারী মোশাররফ হোসেন নিজে সংরক্ষণ করার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপরই অভিযুক্ত মোশারফকে সার ব্যবস্থাপনা আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার জানান, অভিযুক্ত মোশারফ যেটা করেছেন সেটা অপরাধ। তাকে জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে উদ্ধার করা সার প্রকৃত কৃষককে ডেকে তাদের হাতে বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে ওই সারের বস্তা বিতরণের ব্যবস্থা করবেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকসহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে এইচ এম তাসফিকুর রহমান বলেন, সরকারি সার নিজের নিকট সংরক্ষণ করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে জব্দকৃত সার প্রকৃত কৃষকদের মাঝে বিতরণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এএইচ