চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে নয় বছর বয়সী ছাত্রকে ধর্ষণের দায়ে নাম ইসলাম (২৭) নামে মসজিদের মোয়াজ্জিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণদের আদেশ দিয়েছেন।
আজ রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত নাজমুল ইসলাম (২৭) জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ গ্রামের সেলিম উদ্দীনের ছেলে।
আরও পড়ুন
চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রীকে ধর্ষণ, কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত নাজমুল এলাকার একটি মসজিদের মোয়াজ্জিন ছিলেন। পাশাপাশি ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত আরবি শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক ছিলেন। আর ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনার পাশাপাশি মসজিদটিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত আরবী শিক্ষার ছাত্র ছিল। ২০২৩ সালের ১৫ মে মসজিদের মধ্যে ওই শিশুকে বলাৎকার করেন মোয়াজ্জিন নাজমুল ইসলাম। এরপরই শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে জীবননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই বছরের ৩০ জুন নাজমুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবননগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলী মিয়া। নাজমুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. এম এম শাহজাহান মুকুল জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত মোয়াজ্জিন নাজমুল মসজিদের মধ্যে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
এএইচ
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















