দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক ইকরামুল হক পিপুলকে প্রাণনাশ ও তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দামুড়হুদা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে সাংবাদিক নেতার হত্যা ও হুমকির প্রতিবাদ জানানো হয়।
দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তানজীর ফয়সাল, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান কজল,সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল বাবু, প্রেসক্লাবের সহ- সভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ সহ নির্বাহী ও সাধারণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ।
আরও পড়ুন
চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিককে তুলে নেওয়ার হুমকি দিলেন বিএনপি নেতা
অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিক নেতারা বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, সমাজের দর্শন স্বরুপ। সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসন নিরলসভাবে জনগণের কল্যানে কাজ করে আসছেন। সংবাদ সংগ্রহের জেরে দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি একরামুল হক পিপুলকে মুঠোফোনে প্রাণনাশ ও তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকির ঘটনা অবশ্যই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়।
প্রসঙ্গত: বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে মোবাইল করে ভুক্তভোগী সাংবাদিক একরামুল হক পিপুককে মুঠোফোনে প্রাণনাশ ও তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য নাহারুল ইসলাম মাস্টার। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা এলাকায় প্রায় ৩ বিঘার একটি জমির মালিকানা নিয়ে শাহিন আলী ও শাহাজাহান মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে আদালতে একাধিক মামলা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। মামলা পর ঘটনাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করে চুয়াডাঙ্গা আদালত এ সংক্রান্ত একটি সাইনবোর্ড লাগিয়েছিলেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে শাহাজাহান দেশীয় অস্ত্রধারী ৪০/৫০ লোক নিয়ে ওই জমিতে আদালতের দেওয়া সাইনবোর্ড সরিয়ে আম, মেহগনি, সেগুন গাছসহ অন্যান্য গাছ কেটে ফেলে। এ ঘটনার পর অপর পক্ষের শাহিন আলী ও স্থানীয়রা তাদেরকে প্রতিহিত করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। বেলা ১২টার দিকে সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার দামুড়হুদা উপজেলার প্রতিনিধি ও দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল যান। এসময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে ঘটনার বিবরণীর সংবাদ সংগ্রহ ও ভিডিও ধারণ করে বাড়ি ফেরার পর বিএনপি নেতা নাহারুল ইসলাম (০১৭১৬-৭০৩৭…) থেকে ওই সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দেন। এ সময় তিনি সাংবাদিক পিপুলকে তুলে নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেন।
এএইচ