চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৬৩ আড়িয়া গ্রামে ছাবিনা খাতুন (৩৫) নামের এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে ঝুলন্ত অবস্থায় সাবিনাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
ছাবিনা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন ৬৩ আড়িয়া গ্রামের জাহান আলী স্ত্রী। তিনি তিন সন্তানের জননী ছিলেন।
পরিবারের দাবি, স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ছাবিনা। এছাড়া তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়ায় মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ।
পরিবারের সদস্যরা জানান, স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে আসছিল ছাবিনার। এরই জের ধরে শনিবার বেলা ১২টার দিকে গলায় ফাঁস দেন ছাবিনা। পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছাবিনাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
দর্শনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিপু সুলতান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে আত্মহত্যা করেছেন করেছেন বলে পরিবারের দাবি। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলেও পরিবার থেকে জানানো হয়েছে। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় দর্শনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
এএইচ