চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুরে অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপের সময় খায়রুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে এলাকাবাসি।
এ ঘটনার পর খায়রুলকে বেঁধে অমানবিকভাবে মারপিট করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে খায়রুল ইসলাম স্থানীয় বিনোদনকেন্দ্র সৌদিয়ান রিসোর্টের কর্মচারী (নৈশপ্রহরী) হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের মালিক মতিন নিজের প্রভাব খাটিয়ে মিমাংশারও চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের চাপের মুখে তা ভেস্তে যায়।
এদিকে, গতকাল শনিবার এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় টানটান উত্তেজনা দেয়া হয়। একপর্যায়ে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হলে উভয়পক্ষই বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় রিসোর্টের মালিক মতিনকেও শারিরীকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খায়রুম ইসলাম স্থানীয় এক নারীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে এই নারীর ঘরে ঢুকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন তারা। এ সময় প্রতিবেশীরা দু’জনকে হাতেনাতে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক পেটাতে থাকেন।
খবর পেয়ে এই রাতেই রিসোর্টের মালিক মতিন উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন এবং উভয়পক্ষ মেনেও নেন।
কিন্তু রিসোর্টের মালিক নিজে কিভাবে এই অনৈতিক কাজের বিচার করতে পারেন এ নিয়ে স্থানীয় মধ্যে আবারো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরদিন গতকাল শনিবার সকাল থেকে পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে।
সচেতন মহলের দাবি, অনৈতিক কাজে আটককৃতদের মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সাথে বেঁধে তাদের মারধর করা হয়েছে। অন্যায় করলে আইনের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করতে হবে, নিজের হাতে বিচার তুলে নেয়াটাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এদের কেউ যদি মরে যেতো? এটাতো পুলিশ কেচ।
একটি পক্ষের দাবি, সৌদিয়ান রিসোর্টের মালিক মতিন বিষয়টি প্রশাসনকে না জানিয়েই গোপনে মিমাংসা করতে চেয়েছিলেন।
রিসোর্টের মালিক মতিয়ার রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নৈশপ্রহরী খায়রুল আমার এখানে কাজ করতো। এই অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার কারনে স্থানীয়রা তাকে আটক করেছিলেন। আমাকে বলে আমি যেন নৈশপ্রহরীকে আমার রিসোর্ট থেকে বের করে দিই। সাথে সাথে আমি নৈশপ্রহরী রিসোর্ট থেকে বের করে দিয়েছি।
এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সুত্র : দৈনিক আকাশ খবর
এএইচ