০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় নাতনিকে মারধর করায় পুত্রবধুকে বকাঝকা, অভিমানে বিষপানে আত্মহত্যা

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ফুলবাড়িতে শ্বশুরের উপর অভিমান করে শাবানা খাতুন (২৯) নামের এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ময়নাতদন্ত শেষে শাবানার মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও দর্শনা থানা পুলিশ।

আরও পড়ুন

এর আগে গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে বিষপান করেন শাবানা খাতুন। এর কয়েক ঘন্টা পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত শাবানা খাতুন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের মোক্তারপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে ও একই উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের মোশাব কাক্কার স্ত্রী।

দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি সদস্য হাসান আলী রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, সাবানা খাতুনের সাত বছর বয়সী মারিয়া খাতুন নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বাইরে খেলাধুলার সময় তার পায়ের পরিহিত একটি নুপুর হারিয়ে ফেলে মারিয়া। এরপর মা সাবানা খাতুন নুপুর হারানোর জন্য মেয়েকে ব্যাপক মারধর করেন।

ইউপি সদস্য হাসান আলী বলেন, নাতনিকে মারধর করতে দেখে মারিয়ার দাদা অর্থাৎ শাবানা খাতুনের শ্বশুর প্রচণ্ড রেগে যান এবং পুত্রবধু শাবানাকে বকাবকি করেন। এতেই শাবানা খাতুন শ্বশুরের উপর অভিমান করে রোববার সকালে বিষপান করেন। পরে সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে তার কয়েক ঘন্টা পর মারা যান।

আরও পড়ুন

সাবানা খাতুনের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) তাকবিন জাহান পলি রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করতে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।

One thought on “চুয়াডাঙ্গায় নাতনিকে মারধর করায় পুত্রবধুকে বকাঝকা, অভিমানে বিষপানে আত্মহত্যা

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে ৬ কেজি গাজাসহ দুজন আটক

চুয়াডাঙ্গায় নাতনিকে মারধর করায় পুত্রবধুকে বকাঝকা, অভিমানে বিষপানে আত্মহত্যা

প্রকাশের সময় : ০২:০৩:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ফুলবাড়িতে শ্বশুরের উপর অভিমান করে শাবানা খাতুন (২৯) নামের এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ময়নাতদন্ত শেষে শাবানার মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও দর্শনা থানা পুলিশ।

আরও পড়ুন

এর আগে গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে বিষপান করেন শাবানা খাতুন। এর কয়েক ঘন্টা পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত শাবানা খাতুন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের মোক্তারপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে ও একই উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের মোশাব কাক্কার স্ত্রী।

দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি সদস্য হাসান আলী রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, সাবানা খাতুনের সাত বছর বয়সী মারিয়া খাতুন নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বাইরে খেলাধুলার সময় তার পায়ের পরিহিত একটি নুপুর হারিয়ে ফেলে মারিয়া। এরপর মা সাবানা খাতুন নুপুর হারানোর জন্য মেয়েকে ব্যাপক মারধর করেন।

ইউপি সদস্য হাসান আলী বলেন, নাতনিকে মারধর করতে দেখে মারিয়ার দাদা অর্থাৎ শাবানা খাতুনের শ্বশুর প্রচণ্ড রেগে যান এবং পুত্রবধু শাবানাকে বকাবকি করেন। এতেই শাবানা খাতুন শ্বশুরের উপর অভিমান করে রোববার সকালে বিষপান করেন। পরে সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে তার কয়েক ঘন্টা পর মারা যান।

আরও পড়ুন

সাবানা খাতুনের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) তাকবিন জাহান পলি রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করতে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।