১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রদলের উদ্যোগে আলোচনা সভা-চিত্রপ্রদর্শনী

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিচিতি, তাদের উপর নির্মম অত্যাচার, তৎকালীন পত্রিকার কাটিং, মুক্তিযুদ্ধকালীন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের ছবি প্রদর্শন করা হয়। এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়সাল ইকবালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ কে এম সাইফুর রশিদ ও প্রধান বক্তা চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাজাহান খান।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ কে এম সাইফুর রশিদ তার বক্তব্যে বলেন, আজকের এই দিনে জাতি তার বিবেকবান ব্যক্তিদের হারিয়েছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশের আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষকে হত্যা করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করে দেওয়ার। ওই সকল ব্যক্তিদের স্মরণে আজকে আমাদের এই ক্ষুদ্র কর্মসূচি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করেছি দেশের মানুষের মাঝে দেশের সঠিক ইতিহাস জানাতে এবং তুলে ধরতে।

প্রধান বক্তা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাজাহান খান তার বক্তব্যে বলেন, আজকের এই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের শহীদ এবং ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। ১৯৭১ সালে এদেশকে মেধাশূন্য করার যে প্রচেষ্টা চালিয়ে ছিল হানাদার বাহিনীরা এবং এদেশের সহযোগীরা। ২০২৪ সালেও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ঠিক এমন প্রচেষ্টা চালিয়েছিল বাংলাদেশের। সে চেয়েছিল বাংলাদেশের মেধাবীদের শেষ করে একটি মেধাশূন্য জাতি তৈরি করতে। ১৯৭১ সালের মতোই ২০২৪ সালের এস শক্তি পরাজিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে যে সকল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে তারা যদি বেঁচে থাকত তাহলে আমরা অন্য একটি বাংলাদেশ পেতাম। আমরা দেখেছি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে কিছু বুদ্ধিজীবী নামক চাটুকার কিভাবে স্বৈরাচার সরকারকে টিকিয়ে রেখেছিল। একই সাথে প্রকৃত বুদ্ধিজীবীদের নানাভাবে দমন করা হয়েছে। আগামী বাংলাদেশ ব্যক্তির বাক স্বাধীনতা ও চিন্তা স্বাধীনতাকে প্রতিষ্ঠা করতে আমরা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কাজ করে যাব।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাইমুম আরাফাতের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি তৌফিক ইলাহী, সহসভাপতি শাহাবুদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক রুবেল হোসেন, যুগ্ন আহবায়ক রকিবুল ইসলাম প্রমূখ।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

জনপ্রিয় গায়ক নোবেল গ্রেপ্তার

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রদলের উদ্যোগে আলোচনা সভা-চিত্রপ্রদর্শনী

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৮:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিচিতি, তাদের উপর নির্মম অত্যাচার, তৎকালীন পত্রিকার কাটিং, মুক্তিযুদ্ধকালীন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের ছবি প্রদর্শন করা হয়। এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়সাল ইকবালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ কে এম সাইফুর রশিদ ও প্রধান বক্তা চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাজাহান খান।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ কে এম সাইফুর রশিদ তার বক্তব্যে বলেন, আজকের এই দিনে জাতি তার বিবেকবান ব্যক্তিদের হারিয়েছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশের আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষকে হত্যা করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করে দেওয়ার। ওই সকল ব্যক্তিদের স্মরণে আজকে আমাদের এই ক্ষুদ্র কর্মসূচি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করেছি দেশের মানুষের মাঝে দেশের সঠিক ইতিহাস জানাতে এবং তুলে ধরতে।

প্রধান বক্তা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাজাহান খান তার বক্তব্যে বলেন, আজকের এই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের শহীদ এবং ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। ১৯৭১ সালে এদেশকে মেধাশূন্য করার যে প্রচেষ্টা চালিয়ে ছিল হানাদার বাহিনীরা এবং এদেশের সহযোগীরা। ২০২৪ সালেও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ঠিক এমন প্রচেষ্টা চালিয়েছিল বাংলাদেশের। সে চেয়েছিল বাংলাদেশের মেধাবীদের শেষ করে একটি মেধাশূন্য জাতি তৈরি করতে। ১৯৭১ সালের মতোই ২০২৪ সালের এস শক্তি পরাজিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে যে সকল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে তারা যদি বেঁচে থাকত তাহলে আমরা অন্য একটি বাংলাদেশ পেতাম। আমরা দেখেছি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে কিছু বুদ্ধিজীবী নামক চাটুকার কিভাবে স্বৈরাচার সরকারকে টিকিয়ে রেখেছিল। একই সাথে প্রকৃত বুদ্ধিজীবীদের নানাভাবে দমন করা হয়েছে। আগামী বাংলাদেশ ব্যক্তির বাক স্বাধীনতা ও চিন্তা স্বাধীনতাকে প্রতিষ্ঠা করতে আমরা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কাজ করে যাব।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাইমুম আরাফাতের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি তৌফিক ইলাহী, সহসভাপতি শাহাবুদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক রুবেল হোসেন, যুগ্ন আহবায়ক রকিবুল ইসলাম প্রমূখ।