চুয়াডাঙ্গায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের চুয়াডাঙ্গা পৌর শাখার এক নেতা। এ সময় তাঁর হাতে হাতকড়া ছিল। এমন ছবি ও ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিনি প্যারোলে মুক্তি পান। এরপর হাতকড়া অবস্থায় হাতেই মায়ের জানাযায় অংশ নেন তিনি।
প্যারোলে মুক্তি পাওয়া ওই নেতার নাম জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা শহরের কেদারগঞ্জ সিঅ্যান্ডবি পাড়ার বাসিন্দা এবং পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ১৪ নভেম্বর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে জাহাঙ্গীরের মা আলেয়া খাতুন মারা যান। পরিবারের পক্ষ থেকে মায়ের দাফন-কাফনে অংশ নিতে জাহাঙ্গীরের প্যারোলে মুক্তি চেয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন কুমার রাজবংশী গতকাল বেলা একটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চার ঘণ্টার জন্য তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেন।
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে পুলিশি প্রহরায় প্রথমে নিজের বাড়িতে যান জাহাঙ্গীর। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, তিনি হাতকড়া পরেই মায়ের লাশের খাটিয়া বহন করেন এবং জানাজা ও দাফনে অংশ নেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়া চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আসামির ধরন ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা, পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে পুলিশ উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। এ ক্ষেত্রেও তেমনটি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক দেওয়ান তারিকুল ইসলাম বলেন, নাশকতার মামলা হিসেবে পরিচিত বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দুটি মামলায় ১৪ নভেম্বর থেকে কারাগারে আছেন জাহাঙ্গীর হোসেন। ইতিমধ্যে তিনি একটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। গতকাল পুলিশের পাহারায় বেলা দেড়টার দিকে কারাগার থেকে তাঁকে বাড়িতে নেওয়া হয়, বিকেল চারটায় আবার কারাগারে ফেরত আনা হয়।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, সর্বক্ষনিক পুলিশি পাহারায় থাকতে হবে।
সুত্র – প্রথম আলো
এএইচ
রেডিও চুয়াডাঙ্গা 






















