০১:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন দিয়ে কমেছে আমদানি, অলস সময় পার করছেন শ্রমিকরা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন স্টেশনের শ্রমিকরা।

এছাড়া দর্শনা রেলবন্দরে ভারতীয় কোনো মালবাহী ট্রেন প্রবেশ না করায় বন্দরের শ্রমিক, সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ও সারাদেশ থেকে আসা ট্রাকচালক-হেলপাররা অলস সময় পার করছেন। একই সঙ্গে কমেছে রাজস্ব।

ভারত থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলপথ দিয়ে মালবাহী ওয়াগনে করে পণ্য আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। দ্রুত সময়ে পণ্য আমদানি ও খালাসের পর সেগুলো নির্দিষ্ট স্থানে চাহিদামতো সরবরাহ করা হয়।

তবে নানা কারণে আমদানি কমেছে এ বন্দরে। তবে ব্যবসায়ীদের মতে, ব্যাংক চাহিদামতো এলসি অনুমোদন না করায় পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। অল্প কিছু পণ্য আমদানি হলেও রেল ইয়ার্ডে নেই আগের মতো সেই কর্মব্যস্ততা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে স্থানীয় অনেক শ্রমিক ও ট্রাকচালক।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুই হাজার ৭৯৮টি ওয়াগনে ১২ লাখ ৩২ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এতে রাজস্ব আদায় হয় ৫৯ কোটি টাকা। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯ হাজার ৭শ ৪৯ ওয়াগনে আমদানি হয় পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫৯ মেট্রিক টন পণ্য। যা থেকে রাজস্ব আয় হয় মাত্র ২৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এক হাজার পাঁচশ ৫৪ ওয়াগনে ৯১ হাজার ৯৭৭ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে চার কোটি ১২ লাখ টাকা।

শ্রমিক ও ট্রাকচালকরা জানান, কাজ না থাকায় অলস সময় পার করতে হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে সংসার খরচে। এভাবে চলতে থাকলে পথে বসা ছাড়া উপায় নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, আগের সেই ব্যস্ততা নেই। শুয়ে-বসে দিন যায়। সবকিছু দ্রুত স্বাভাবিক হোক। আমাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

জামাল নামের এক ট্রাকচালক বলেন, আমরা বেকার হয়ে বসে আছি। কবে মালামাল আসা স্বাভাবিক হবে বুঝতে পারছি না। স্টেশন শ্রমিকরা প্রায় বেকার, রেল ইয়ার্ডে নেই সেই কর্মব্যস্ততা।

জিয়াউল নামের এক শ্রমিক বলেন, প্রায় এক মাস হলো কোনো কাজ নেই। দেশের তো অবস্থা এখন স্বাভাবিক, আমাদের কাজও শুরু হোক। না হলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মির্জা কামরুল হক জানান, চার মাসে পণ্য আমদানি কমেছে। এতে রাজস্ব আদায়ও কমেছে। এখনো পর্যন্ত পণ্য আমদানি স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

গণ–অভ্যুত্থানের পর সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন দিয়ে কমেছে আমদানি, অলস সময় পার করছেন শ্রমিকরা

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৬:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন স্টেশনের শ্রমিকরা।

এছাড়া দর্শনা রেলবন্দরে ভারতীয় কোনো মালবাহী ট্রেন প্রবেশ না করায় বন্দরের শ্রমিক, সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ও সারাদেশ থেকে আসা ট্রাকচালক-হেলপাররা অলস সময় পার করছেন। একই সঙ্গে কমেছে রাজস্ব।

ভারত থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলপথ দিয়ে মালবাহী ওয়াগনে করে পণ্য আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। দ্রুত সময়ে পণ্য আমদানি ও খালাসের পর সেগুলো নির্দিষ্ট স্থানে চাহিদামতো সরবরাহ করা হয়।

তবে নানা কারণে আমদানি কমেছে এ বন্দরে। তবে ব্যবসায়ীদের মতে, ব্যাংক চাহিদামতো এলসি অনুমোদন না করায় পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। অল্প কিছু পণ্য আমদানি হলেও রেল ইয়ার্ডে নেই আগের মতো সেই কর্মব্যস্ততা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে স্থানীয় অনেক শ্রমিক ও ট্রাকচালক।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুই হাজার ৭৯৮টি ওয়াগনে ১২ লাখ ৩২ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এতে রাজস্ব আদায় হয় ৫৯ কোটি টাকা। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯ হাজার ৭শ ৪৯ ওয়াগনে আমদানি হয় পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫৯ মেট্রিক টন পণ্য। যা থেকে রাজস্ব আয় হয় মাত্র ২৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এক হাজার পাঁচশ ৫৪ ওয়াগনে ৯১ হাজার ৯৭৭ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে চার কোটি ১২ লাখ টাকা।

শ্রমিক ও ট্রাকচালকরা জানান, কাজ না থাকায় অলস সময় পার করতে হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে সংসার খরচে। এভাবে চলতে থাকলে পথে বসা ছাড়া উপায় নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, আগের সেই ব্যস্ততা নেই। শুয়ে-বসে দিন যায়। সবকিছু দ্রুত স্বাভাবিক হোক। আমাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

জামাল নামের এক ট্রাকচালক বলেন, আমরা বেকার হয়ে বসে আছি। কবে মালামাল আসা স্বাভাবিক হবে বুঝতে পারছি না। স্টেশন শ্রমিকরা প্রায় বেকার, রেল ইয়ার্ডে নেই সেই কর্মব্যস্ততা।

জিয়াউল নামের এক শ্রমিক বলেন, প্রায় এক মাস হলো কোনো কাজ নেই। দেশের তো অবস্থা এখন স্বাভাবিক, আমাদের কাজও শুরু হোক। না হলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মির্জা কামরুল হক জানান, চার মাসে পণ্য আমদানি কমেছে। এতে রাজস্ব আদায়ও কমেছে। এখনো পর্যন্ত পণ্য আমদানি স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি।