চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কাউন্সিলের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শরীফুজ্জামান শরীফ।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে ঘোষিত ফলাফলে নির্বাচিত হয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তিনি। এরপর থেকে জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে তাঁর বাসভবন ও রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছুটে আসছেন।

গত রোববার, সোমবার এবং মঙ্গলবারেও সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ের বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অব্যহতভাবে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। এ ধারা অব্যহত থাকতে দেখা গেছে গতকাল বুধবারও।
বুধবার (২৮ নভেম্বর) জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন ছাড়াও শিক্ষক, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও তাঁকে ফুল ও শুভেচ্ছা উপহার দেন। দিনভর তাঁর কার্যালয় এবং বাড়ির সামনে নেতা-কর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
আরও পড়ুন
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন যারা
শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সকল উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভালোবাসা আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে। আমি জানি এটি শুধুমাত্র একটি পদ নয়, এটি একটি আন্দোলনের অংশ। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে আমি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে চাই। তারেক রহমান যে স্বপ্ন দেখছেন, আমরা দেশের মানুষের সেই স্বপ্নপূরণে কাজ করতে চাই।’

শরীফুজ্জামান বলেন, ‘আমি জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার আগে এবং পরের সময় নেতা-কর্মীরা দলকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছে। তাদের ভালোবাসা এবং সাহস দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার শক্তি জুগিয়েছে। আমার প্রতি তাদের আস্থা রাখার কারণেই আমি এই দায়িত্ব পেয়েছি। নেতা-কর্মীদের এই ভালোবাসা আমাকে আরও দায়িত্বশীল করে তুলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গায় বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করতে সবার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে নিতে চাই। নেতা-কর্মীদের এই ভালোবাসা আমার আগামী দিনে পথচলায় ন্যায়ের পক্ষে থেকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সাহস হয়ে জমা থাকবে।’

গতকাল এই নেতাকে শুভেচ্ছা জানান চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদল, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্লিনিক মালিক সমিতি, আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়ন বিএনিপি, হারদী ইউনিয়ন বিএনপি, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপি, চুয়াডাঙ্গায় সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এছাড়াও এই নেতাকে শুভেচ্ছা জানান চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এএইচ