সামাজিক সংগঠন নেক্সটজেন ইউথ অ্যালায়েন্সের স্বাবলম্বী প্রজেক্টের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গায় এক অসহায় পরিবারের এক কর্তাকে দোকান ও মালামাল উপহার দেয়া হয়েছে।
শনিবার (০২ নভেম্বর) বিকেলে নেক্সটজেন চুয়াডাঙ্গা টিমের উদ্যোগে (নেক্সটজেন স্টল) আব্বাস আলীর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
দোকানটিতে ইতোমধ্যে সিদ্ধ ডিম বিক্রি শুরু করেছেন আব্বাস আলী। দোকান ও মালামাল পেয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন।
আব্বাস আলী রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কর্মরত আছি। এখানে যা বেতন পাই তা দিয়ে পুরো সংসার চলে না। এখন দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতি যেই তুলনায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই মুহুর্তে দোকান দিতে হলেও অনেক টাকা লাগতো। যা আমার কাছে নেই। তারা আমাকে দোকান করে দিয়েছে। আমি এখন অবসর সময়ে ডিম বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারব। এতে আমি অত্যান্ত খুশি।

সংগঠনটির চুয়াডাঙ্গা টিমের সদস্য ফাহিম উদ্দিন মভিন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, চুয়াডাঙ্গাতে আমাদের প্রথম প্রোজেক্ট এর মাধ্যমে পরিবারের এক কর্তাকে দোকান উপহার দেয়া। আগামীতেও এমন সুন্দর সুন্দর প্রোজেক্ট আমাদের জেলায় অব্যাহত থাকবে।
সংগঠনটির চুয়াডাঙ্গা টিমের যুগ্ম আহবায়ক নুসরাত জাহান রোজা রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী প্রোজেক্টে একজন অসহায়কে দোকান উপহার দেয়া হয়েছে। জেলায় এটিই আমাদের প্রথম প্রোজেক্ট। এতে আমরা খুবই আনন্দিত। আশা করি এমন প্রোজেক্ট চুয়াডাঙ্গাতে অব্যাহত থাকবে।
সংগঠনটির চুয়াডাঙ্গা টিমের আহবায়ক মুশফিকুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আমাদের প্রথম স্বাভাবিক প্রোজেক্ট বাস্তবায়ন করা হলো। মূলত আব্বাস আলী দীর্ঘদিন যাবত সরকারি কলেজে যে সেবা দিয়ে আসছেন তাতে তিনি খুব অল্প সংখ্যক বেতন পান। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে তিনি স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারছিলেন না। তাই আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে তাকে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করেছি। আমাদের এমন কাজ অব্যাহত থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির চুয়াডাঙ্গা টিমের মাহিন বিল্লাহ, সুমন, নিতু ইসলাম, উম্মে মাইশা, নাহিদ জাভেদ, মেজবাউর রহমান, আবেদা বিনতে নাহিদ , মোহাম্মদ প্রিন্স ও হাসনা জাহান।
এএইচ