চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বোয়ালমারীতে বিএনপির দু’পক্ষের মারামারিতে আহত বিএনপি কর্মী সুলতান হোসেন (৪৫) মারা গেছেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) আইসিইউতে চিকিৎরত অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে, মারামারির ঘটনার ৫ দিন পর অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর নিহত সুলতান হোসেনের ছেলে পলাশ উদ্দীন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত সুলতান হোসেনের মৃত্যুর পরই মামলার তিন নাম্বার আসামী সোহরাব উদ্দীনকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার সোহরাব উদ্দিন নাটুদহ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত. ভরস আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন
চুয়াডাঙ্গায় যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতাসহ ৫ জনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম
এর আগে, গত ২৩ অক্টোবর দামুড়হুদার নাটুদহের ডিসি ইকো পার্কের অদূরে বোয়ালমারী গ্রামের ফকিরপাড়া মোড় নামকস্থানে স্থানীয় বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয় বিএনপি কর্মী সুলতান হোসেন।
স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় সুলতান হোসেনকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসকের পরামর্শে সেখান থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক সুলতান হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। গতকাল রাত ৯টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, এ ঘটনায় সোহরাব উদ্দিন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এএইচ
রেডিও চুয়াডাঙ্গা ডেস্ক 






















