চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় সাবেক কাউন্সিলর আশুকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এতে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে আহত আশুর চাচা ফরমান আলী বাদি হয়ে দর্শনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মসজিদপাড়ার সানিরুলের ছেলে রাশেদ (৩২), একই এলাকার হাশেম আলীর ছেলে খাইরুল ইসলাম (৩৫), আকন্দবাড়ীয়া নতুনপাড়ার মৃত তোফাজেল হোসেনের ছেলে সাইফুজ্জামান স্বপন (৩৮), ঈশ্বরচন্দ্রপুর মসজিদ পাড়ার সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে মিলন (৩২)।
আরও পড়ুন
চুয়াডাঙ্গায় সাবেক পৌর কাউন্সিলর আশুকে কুপিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মী রাশেদ
এজাহার সুত্রে জানা গেছে, দর্শনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিল আশু। কাউন্সিলর থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ভাতা, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে আসামীদের সাথে তার বিরোধ চলে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ শে অক্টোবর রাত ৮ টার দিকে দর্শনা থানাধীন ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামস্থ বড় মসজিদের পাশে জনৈক ওসমান (৩২) এর মুদি দোকানের সামনে পৌঁছানো মাত্রই পূর্ব শত্রুতার সূত্রপাতে উল্লেখিত আসামীরা বেআইনী ভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোটরসাইকেল এর গতিরোধ করে গালিগালাজ শুরু করে। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ১নং আসামী রাশেদ তার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আশুর মাথার বাম পাশে কোপ দেন এবং বাম কানে হাসুয়া দিয়ে কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। ২নং আসামী খাইরুল ইসলাম তার হাতে থাকা রাম দা দিয়ে আমার ভাতিজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারতে গেলে সে মাথা সরিয়ে নিলে উক্ত কোপ আশুর বাম চোয়ালে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। ৩ নং আসামী সাইফুজ্জামান স্বপন আশুকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসুয়া দিয়ে মাথায় কোপ মারলে সে বাম হাত দিয়ে ঠেকালে উক্ত কোপ বাম হাতের কব্জিতে লেগে রক্তাক্ত জখম হয় এবং ৪নং আসামী মিলন ডান পায়ের হাটুর নিচে গোড়ালীতে রামদা দিয়ে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করেন। ১ নং আসামী রাশেদ আশুর ব্যবহৃত পালসার মোটরসাইকেলে পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আশুর চিৎকার-চেচামেচিতে আশেপাশে উপস্থিত রিপন বিজন সহ আরো অনেকে এগিয়ে আসলে সকল আসামীরা ভয় ভীতির হুমকি ধামকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। উপস্থিতি লোকজন আশুকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করা হয়।
দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এএইচ