ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দীন চুপ্পুর পদত্যাগের দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় গনজমায়েত করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সামনে এ আয়োজন করা হয়।
এ সময় ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে, ‘ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ, করতে করতে হবে’ ‘এক দুই তিন চার, ছাত্রলীগ ক্যাম্পাস ছাড়, এক দুই তিন চার, চুপ্পু তুই গদি ছাড়, ‘স্বৈরাচারের দোসরেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ‘মুজিববাদ নিপাত যাক, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, শাহাবুদ্দীন চুপ্পুর ২ গালে, জুতা মারো তালে তালে, চুপ্পুর গদিতে, আগুন জ্বালো এক সাথে, দিয়েছিতো রক্ত, আরো দেবো রক্ত, জেগেছেরে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন
পদ ছাড়তে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
সমাবেশে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্র প্রতিনিধি রাকিব মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ফ্যাসিস্টদের দালালরা এই দেশে থাকতে পারবে না। আমরা যেভাবে সৌরাচার হাসিনা কে ঢাকা টু লং মার্চের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছি। কোনো আওয়ামী লীগের দোসর যদি এই বাংলার মাটিতে আস্তানা করতে চায়, তাহলে আমরা তাদেরকেও এই দেশ থেকে বিদায় করতে সক্ষম হবো। একেক বার আওয়ামী লীগের দোসররা এক ভাবে ফিরে আসছে। কখনো সাকিবিয়ান, কখনো রিকসাচালক আবার কখনো কখনো আনসার হয়ে। তবে আমরা বলতে চাই তারা যতো ভাবেই আসুক না কেনো আমরা তাদের প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত। এই ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা একটা নতুন সংবিধান, একটি নতুন বাংলাদেশ। এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার দাবি জানান।

ছাত্র প্রতিনিধি আসলাম অর্ক বলেন, আমরা ২৪’এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর দিলেও এখনও তাদের মূলোৎপাটন করতে পারিনি। এই বাংলার মাটিতে এখনও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে। মো. সাহাবুদ্দিন, যিনি স্বৈরাচারের দোসর ছিলেন আমরা তার পদত্যাগের দাবি জানাই। অন্যথায় এই ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে আরও কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। এসময় তিনি গত ১৬ বছরে নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পদচ্যুত করার জোর দাবি জানান।
আরও পড়ুন
বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন : রাষ্ট্রপতিকে সমন্বয়ক হাসনাত
তিনি আরো বলেন, যেখান থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হবে সেখান থেকেই প্রতিরোদ করা হবে। আমাদের চুয়াডাঙ্গায় ৫ তারিখে যারা ছাত্র ও বোনদের প্রতি হামলা করেছে, সে সব সন্ত্রাসীরা এখনো পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখনো পর্যন্ত তাদেরকে কেনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আমরা এটা প্রশাসনের কাছে জানতে চাই কেন তাদেরকে গ্রেপ্তার করছেন না। তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত রহমান ও জীবননগর ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফাহিম উদ্দিন মভিন, মুশফিকুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল কাফি, আসিফ আল আজাদ, সজিব, মাহিম, খুশবু, অমি ও তামান্না প্রমুখ।
এএইচ