চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার রনির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে ভুক্তভোগী নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে ওই নারী ৭ মাসের গর্ভবতী অবস্থায় অসুস্থ হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত রনির শাস্তির দাবিতে ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত রনি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার মুংলা কমাণ্ডারের ছেলে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে একটি তেলপাম্পের পাশে বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন। এই তেলপাম্পে কর্মরত অবস্থায় অভিযুক্ত রনি গত সাত মাস আগে ভুক্তভোগী নারীকে অবৈধ সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে নারীকে। পরবর্তীতে শারীরিক পরিবর্তন হলে চিকিৎসকের মাধ্যমে জানতে পারেন তিনি গর্ভবতী।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী নারী রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আমি এখন সাত মাসের গর্ভবতী। রনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে বিষয়টি অস্বীকার করছে। এই অবস্থায় আমি কি কবর? এই সন্তান নিয়ে আমি কোথায় যাব? আমার দুইটা ছেলে সন্তান আছে। আমি তার শাস্তির দাবি করছি। এ ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ করেছি। অভিযুক্ত রনি বলেছেন এই ঘটনা সত্য নয় এমন প্রশ্নের জবারে তিনি বলেন, সে মিথ্যা কথা বলছে। আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করব। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। অভিযুক্ত রনির শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে জানতে রনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, ওই নারীর অভিযোগ সঠিক নয়। আমাকে ফাসানো হচ্ছে। মূলত আমার থেকে টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা ফেরত চাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে। তার পেটের সন্তান আমার নয়।
অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজিবুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ভুক্তভোগী নারী ধর্ষণের ফলে ৭ মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। তিনি এখন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে থানায় এসে মামলা করার জন্য বলা হয়েছে। অভিযুক্ত রনির সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তদন্ত চলছে। তাই এই সময়ে এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব নই।
এএইচ
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















