০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় ৪ বিঘা পুকুরের মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বত্তরা, কান্না থামছে না মাছ চাষীর

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছোটশলুয়া গ্রামে এক মাছ চাষীর লিজ নেওয়া চার বিঘা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বত্তরা।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে পুকুর পরিদর্শনে এসে মরা মাছ ভাসতে দেখেন ভুক্তভোগী মুহাম্মদ আলমগীর। এরপর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।

ভুক্তভোগী মুহাম্মদ আলমগীরের দাবি, সরকার পতনের আন্দোলনে সরাসরি যুক্ত ছিলাম। এ কারণে অনেকেই আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরেই এ ঘটনাটি ঘটেছে।

মুহাম্মাদ আলমগীর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোট শলুয়া গ্রামের কুমিল্লাপাড়ার মুহাম্মদ শুকুর আলীর ছেলে। গত ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত তিতুদহ ইউনিয়নের নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও বিজয় লাভ করতে পারেননি ।

ভুক্তভোগী মুহাম্মদ আলমগীর অভিযোগ করে রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগদানের পর থেকে একটা চিহ্নিত গ্রুপ আমার পিছনে উঠেপড়ে লেগেছে। আমাকে নানাভাবে হুমকিধামকি এমনকি প্রাণনাশের ভয়ভীতিও দেখিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ আমার পুকুরে বিষপ্রয়োগ করে ১০-১২ লক্ষ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে। যেহেতু নিজের চোখে কাউকে দেখেনি। তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হতে পারে বলে আমার ধারণা।

তিনি বলেন, আমি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। কয়েকদিন আগে সেই চাকরি ছেড়েছি মাছ চাষে ভালভাবে সময় দেয়ার জন্য। বছরে এক লাখ টাকা দিয়ে এই চার বিঘা পুকুর লিজ নিয়েছি। আমার অর্জিত সিংহভাগ অর্থই পুকুরে ইনভেস্ট করেছি, এখন আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে তারা। আমি এর বিচার চাই। খুব শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।

এ বিষয়ে জানতে দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহার সরকারি নাম্বার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

আলমডাঙ্গায় ‘সমতায় তারুণ্য’ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

চুয়াডাঙ্গায় ৪ বিঘা পুকুরের মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বত্তরা, কান্না থামছে না মাছ চাষীর

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছোটশলুয়া গ্রামে এক মাছ চাষীর লিজ নেওয়া চার বিঘা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বত্তরা।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে পুকুর পরিদর্শনে এসে মরা মাছ ভাসতে দেখেন ভুক্তভোগী মুহাম্মদ আলমগীর। এরপর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।

ভুক্তভোগী মুহাম্মদ আলমগীরের দাবি, সরকার পতনের আন্দোলনে সরাসরি যুক্ত ছিলাম। এ কারণে অনেকেই আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরেই এ ঘটনাটি ঘটেছে।

মুহাম্মাদ আলমগীর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোট শলুয়া গ্রামের কুমিল্লাপাড়ার মুহাম্মদ শুকুর আলীর ছেলে। গত ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত তিতুদহ ইউনিয়নের নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও বিজয় লাভ করতে পারেননি ।

ভুক্তভোগী মুহাম্মদ আলমগীর অভিযোগ করে রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগদানের পর থেকে একটা চিহ্নিত গ্রুপ আমার পিছনে উঠেপড়ে লেগেছে। আমাকে নানাভাবে হুমকিধামকি এমনকি প্রাণনাশের ভয়ভীতিও দেখিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ আমার পুকুরে বিষপ্রয়োগ করে ১০-১২ লক্ষ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে। যেহেতু নিজের চোখে কাউকে দেখেনি। তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হতে পারে বলে আমার ধারণা।

তিনি বলেন, আমি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। কয়েকদিন আগে সেই চাকরি ছেড়েছি মাছ চাষে ভালভাবে সময় দেয়ার জন্য। বছরে এক লাখ টাকা দিয়ে এই চার বিঘা পুকুর লিজ নিয়েছি। আমার অর্জিত সিংহভাগ অর্থই পুকুরে ইনভেস্ট করেছি, এখন আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে তারা। আমি এর বিচার চাই। খুব শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।

এ বিষয়ে জানতে দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহার সরকারি নাম্বার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।