০৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, ইবি শিক্ষক ড. সঞ্জয় কুমার কারাগারে 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সরকারকে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী জয়া সাহাকে নির্যাতনের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহিম এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের (বাদীপক্ষ) আইনজীবী আনিসুর রহমান।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আট বছর আগে সঞ্জয় কুমার সরকার ও জয়া সাহার বিয়ে হয়। এ সময় বাদীর (জয়া) কল্যাণের কথা চিন্তা করে তার বাবা নগদ ২৫ লাখ টাকা, ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজসহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় ফার্নিচার দেয় সঞ্জয়কে। তবে বিয়ের পর থেকেই তাদের উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্যের কারণে জয়া সাহা বিভিন্ন সময় তার স্বামী সঞ্জয় সরকারের দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন।

একইসঙ্গে জয়াকে যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করতে শুরু করেন সঞ্জয়। গত বছরের জুনে আবারও ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। পরে জয়া টাকা আনতে অপারগতা জানালে তাকে ও তার সাড়ে চার বছরের শিশু সন্তানকে জোরপূর্বক শ্বশুরবাড়ি রেখে আসেন সঞ্জয়। তারপর থেকে উভয়েই এক বছরের বেশি সময় আলাদা থাকছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনিসুর রহমান বলেন, এ মামলাটি দাখিলের পর মামলাটির জুডিশিয়াল তদন্ত হয়। তদন্ত শেষে ম্যাজিস্ট্রেট বাদীর (জয়া সাহা) পক্ষে রিপোর্ট দেন। পরে আসামির (সঞ্জয় কুমার) বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হলে আসামি এক মাস আগে আপসের কথা বলে জামিন নেন। কিন্তু আপস না করার কারণে আজ আদালত এ নির্দেশ দেন।

জানা যায়, নির্যাতনের শিকার স্ত্রী জয়া সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি নাটোরের উপরবাজার উপজেলার রতন কুমার সাহার বড় মেয়ে। সঞ্জয় কুমার পাবনার চড়াডাঙ্গা গ্রামের সুশান্ত কুমার সাহার ছেলে।

এ বিষয়ে সঞ্জয় কুমার সরকারের আইনজীবী শাহজাহান কবীর বলেন, আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আশা করি তিনি জামিন পাবেন। আমরা আগামী রোববার তার জামিনের জন্য আবারও চেষ্টা করব।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

এক চাকা নিয়ে ঢাকায় অবতরণ করলো বিমানের ফ্লাইট, নিরাপদে ৭১ যাত্রী

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, ইবি শিক্ষক ড. সঞ্জয় কুমার কারাগারে 

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সরকারকে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী জয়া সাহাকে নির্যাতনের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহিম এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের (বাদীপক্ষ) আইনজীবী আনিসুর রহমান।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আট বছর আগে সঞ্জয় কুমার সরকার ও জয়া সাহার বিয়ে হয়। এ সময় বাদীর (জয়া) কল্যাণের কথা চিন্তা করে তার বাবা নগদ ২৫ লাখ টাকা, ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজসহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় ফার্নিচার দেয় সঞ্জয়কে। তবে বিয়ের পর থেকেই তাদের উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্যের কারণে জয়া সাহা বিভিন্ন সময় তার স্বামী সঞ্জয় সরকারের দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন।

একইসঙ্গে জয়াকে যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করতে শুরু করেন সঞ্জয়। গত বছরের জুনে আবারও ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। পরে জয়া টাকা আনতে অপারগতা জানালে তাকে ও তার সাড়ে চার বছরের শিশু সন্তানকে জোরপূর্বক শ্বশুরবাড়ি রেখে আসেন সঞ্জয়। তারপর থেকে উভয়েই এক বছরের বেশি সময় আলাদা থাকছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনিসুর রহমান বলেন, এ মামলাটি দাখিলের পর মামলাটির জুডিশিয়াল তদন্ত হয়। তদন্ত শেষে ম্যাজিস্ট্রেট বাদীর (জয়া সাহা) পক্ষে রিপোর্ট দেন। পরে আসামির (সঞ্জয় কুমার) বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হলে আসামি এক মাস আগে আপসের কথা বলে জামিন নেন। কিন্তু আপস না করার কারণে আজ আদালত এ নির্দেশ দেন।

জানা যায়, নির্যাতনের শিকার স্ত্রী জয়া সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি নাটোরের উপরবাজার উপজেলার রতন কুমার সাহার বড় মেয়ে। সঞ্জয় কুমার পাবনার চড়াডাঙ্গা গ্রামের সুশান্ত কুমার সাহার ছেলে।

এ বিষয়ে সঞ্জয় কুমার সরকারের আইনজীবী শাহজাহান কবীর বলেন, আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আশা করি তিনি জামিন পাবেন। আমরা আগামী রোববার তার জামিনের জন্য আবারও চেষ্টা করব।