১২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জেলা প্রশাসকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ

চুয়াডাঙ্গায় ক্রিকেট অঙ্গনকে ঢেলে সাজানোর প্রত্যয়ে ৯ দফা দাবি

চুয়াডাঙ্গায় ক্রিকেট অঙ্গনকে ঢেলে সাজানোর প্রত্যয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াপ্রেমীরা। এসময় তারা ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে চুয়াডাঙ্গার ক্রিকেট অঙ্গনের নানাবিধ সমস্যা ও সমাধানের উপায় তুলে ধরে খোলামেলা আলোচনা করেন ক্রিকেটাররা ও ক্রীড়াপ্রেমীরা।

১. জাতীয় তালিকাভুক্ত খেলোয়াড়দের (নূন্যতম ১৮ বছর ধরে যাঁরা জেলাকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন) ভোটাধিকার চাই।
২. একজন ব্যক্তির মালিকানাধীন একাধিক ক্লাব থাকতে পারবেনা।
৩. প্রতি বছর প্রিমিয়ার লিগ, প্রথম বিভাগ ও দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চালু করতে হবে।
৪.প্রতি বছর অন্তত ১টি অ্যাথলেটিক গেমস আয়োজন করতে হবে।
৫.সম্পূর্ন রাজনীতি ও দূর্নীতি মুক্ত জেলা ক্রীড়া সংস্থা চাই।
৬.ব্যক্তি স্বার্থে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোনো কিছুই ব্যবহার করা যাবে না।
৭.বছরের শুরুতে ক্রিকেট, অ্যাথলেটিকসের বাৎসরিক ক্যলেন্ডার (এফটিপি) তৈরি এবং তার বাস্তবায়ন করতে হবে।
৮. খেলা চলাকালীন সময়ে খেলোয়াড়দের শতভাগ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৯. বয়স ভিত্তিক দলের খেলোয়াড় যারা জেলাকে জাতীয় বা বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করছে তাদেরকে ব্যক্তিগত অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।

চুয়াডাঙ্গার ক্রীড়াবিদরা বলেন, আমরা যতটুকু শিখেছি, নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে সেইগুলো ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে ভালো মানের ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তুলব। আমরা ক্রিকেটার দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে চুয়াডাঙ্গার ক্রীড়াঙ্গনকে ঢেলে সাজাতে চাই।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সভাপতি ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, এ ধরনের সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব যে কোনো কাজকে ভালো কাজে রূপান্তরিত করতে পারে। তাই আপনারা যারা এখানে স্ব-প্রণোদিত হয়ে এসেছেন, আমি আপনাদেরকে মোস্ট ওয়েলকাম জানায়। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে ক্রীড়াবিষয়ক নীতিমালা আছে, সেই নীতিমালার আলোকেই চুয়াডাঙ্গার ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। সেই ক্ষেত্রে আপনাদের এই সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবের কথা আমার স্মরণে থাকবে।

ক্রিকেটারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধিনায়ক শিমুল হোসেন ও শেখ ইমরান হোসেন, অধিনায়ক সাইদুর রহমান রনি, ক্রিকেটার ও ক্রীড়া সাংবাদিক আজিজুল হাকীম আশিক, সাইফুর রহমান রাতুল, ফরজোন আলী, শিপুল, তোহিদুল হাসান অপু, মোঃ নাসির, হাসনাত পারভেজ হাসান, ওমর ফরহাদ ও রিমন মন্ডল।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

জনপ্রিয় গায়ক নোবেল গ্রেপ্তার

জেলা প্রশাসকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ

চুয়াডাঙ্গায় ক্রিকেট অঙ্গনকে ঢেলে সাজানোর প্রত্যয়ে ৯ দফা দাবি

প্রকাশের সময় : ১০:৪১:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় ক্রিকেট অঙ্গনকে ঢেলে সাজানোর প্রত্যয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াপ্রেমীরা। এসময় তারা ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে চুয়াডাঙ্গার ক্রিকেট অঙ্গনের নানাবিধ সমস্যা ও সমাধানের উপায় তুলে ধরে খোলামেলা আলোচনা করেন ক্রিকেটাররা ও ক্রীড়াপ্রেমীরা।

১. জাতীয় তালিকাভুক্ত খেলোয়াড়দের (নূন্যতম ১৮ বছর ধরে যাঁরা জেলাকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন) ভোটাধিকার চাই।
২. একজন ব্যক্তির মালিকানাধীন একাধিক ক্লাব থাকতে পারবেনা।
৩. প্রতি বছর প্রিমিয়ার লিগ, প্রথম বিভাগ ও দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চালু করতে হবে।
৪.প্রতি বছর অন্তত ১টি অ্যাথলেটিক গেমস আয়োজন করতে হবে।
৫.সম্পূর্ন রাজনীতি ও দূর্নীতি মুক্ত জেলা ক্রীড়া সংস্থা চাই।
৬.ব্যক্তি স্বার্থে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোনো কিছুই ব্যবহার করা যাবে না।
৭.বছরের শুরুতে ক্রিকেট, অ্যাথলেটিকসের বাৎসরিক ক্যলেন্ডার (এফটিপি) তৈরি এবং তার বাস্তবায়ন করতে হবে।
৮. খেলা চলাকালীন সময়ে খেলোয়াড়দের শতভাগ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৯. বয়স ভিত্তিক দলের খেলোয়াড় যারা জেলাকে জাতীয় বা বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করছে তাদেরকে ব্যক্তিগত অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।

চুয়াডাঙ্গার ক্রীড়াবিদরা বলেন, আমরা যতটুকু শিখেছি, নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে সেইগুলো ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে ভালো মানের ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তুলব। আমরা ক্রিকেটার দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে চুয়াডাঙ্গার ক্রীড়াঙ্গনকে ঢেলে সাজাতে চাই।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সভাপতি ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, এ ধরনের সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব যে কোনো কাজকে ভালো কাজে রূপান্তরিত করতে পারে। তাই আপনারা যারা এখানে স্ব-প্রণোদিত হয়ে এসেছেন, আমি আপনাদেরকে মোস্ট ওয়েলকাম জানায়। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে ক্রীড়াবিষয়ক নীতিমালা আছে, সেই নীতিমালার আলোকেই চুয়াডাঙ্গার ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। সেই ক্ষেত্রে আপনাদের এই সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবের কথা আমার স্মরণে থাকবে।

ক্রিকেটারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধিনায়ক শিমুল হোসেন ও শেখ ইমরান হোসেন, অধিনায়ক সাইদুর রহমান রনি, ক্রিকেটার ও ক্রীড়া সাংবাদিক আজিজুল হাকীম আশিক, সাইফুর রহমান রাতুল, ফরজোন আলী, শিপুল, তোহিদুল হাসান অপু, মোঃ নাসির, হাসনাত পারভেজ হাসান, ওমর ফরহাদ ও রিমন মন্ডল।