০৬:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাকের পলিপ অপারেশনের সময় চুয়াডাঙ্গার সামসুদ্দোহা শিমুলের মৃত্যু

রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন কমফোর্ট হাসপাতালে নাকের পলিপ অপারেশন করাতে গিয়ে চিকিৎসকদের ভুলে মো. সামসুদ্দোহা শিমুল নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. সামসুদ্দোহা শিমুল দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিকস পণ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ।

তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মৃত শামছুজ্জোহার ছেলে। পরিবার নিয়ে ধানমন্ডি ৪ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাসায় বসবাস করতেন। তিনি এক ছেলে এবং এক মেয়ের জনক।

জানা যায়, ইতোমধ্যে আলোচিত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. জাহের আল-আমীনকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় কলাবাগান থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মৃতের ভাগনে আদনান সাদিক রিয়াদ অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে নাকের পলিপ অপারেশন করানোর জন্য তাকে কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাত ১১টায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাকে বের করা না হলে আমরা খোঁজ নিতে যাই। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, রোগী অপারেশন টেবিলে দুবার স্ট্রোক করেছিলেন। পরে সেখান থেকে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপ জানায়, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত কমফোর্ট হাসপাতালে নাকের সেফটি প্লাস্টিক সার্জারি করার সময় চিকিৎসক প্রফেসর ডা. জাহের আল-আমীনের ভুল চিকিৎসায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তার এই অকালমৃত্যুতে তার পরিবারসহ মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপে নেমে আসে শোকের ছায়া। মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের সব সদস্যসহ তার পরিবার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উল্লিখিত ডাক্তারসহ দোষী সবাইকে আইনের আওতায় এনে অতিদ্রুত বিচার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।

চুয়াডাঙ্গা জেলার সন্তান সামসুদ্দোহা শিমুল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ থেকে পড়াশোনা শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেন। তার সুদীর্ঘ কর্মজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন এবং আজকের অবস্থানে আসীন হোন। তার অকালমৃত্যুতে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের সম্মানিত চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান রাজ, সিআইপি এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলরুবা তনুসহ সব শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গভীরভাবে শোক প্রকাশ এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।

এদিকে সামসুদ্দোহা শিমুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের সব সদস্যসহ তার পরিবারের আত্মীয়-স্বজনরা হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন এবং তার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।

মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি দুই সন্তানের জনক। বর্তমানে তার স্ত্রী ও সন্তানরা আমেরিকায় অবস্থান করছে বিধায় জানাজার সময় পরে জানানো হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

নাকের পলিপ অপারেশনের সময় চুয়াডাঙ্গার সামসুদ্দোহা শিমুলের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৬:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন কমফোর্ট হাসপাতালে নাকের পলিপ অপারেশন করাতে গিয়ে চিকিৎসকদের ভুলে মো. সামসুদ্দোহা শিমুল নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. সামসুদ্দোহা শিমুল দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিকস পণ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ।

তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মৃত শামছুজ্জোহার ছেলে। পরিবার নিয়ে ধানমন্ডি ৪ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাসায় বসবাস করতেন। তিনি এক ছেলে এবং এক মেয়ের জনক।

জানা যায়, ইতোমধ্যে আলোচিত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. জাহের আল-আমীনকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় কলাবাগান থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মৃতের ভাগনে আদনান সাদিক রিয়াদ অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে নাকের পলিপ অপারেশন করানোর জন্য তাকে কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাত ১১টায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাকে বের করা না হলে আমরা খোঁজ নিতে যাই। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, রোগী অপারেশন টেবিলে দুবার স্ট্রোক করেছিলেন। পরে সেখান থেকে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপ জানায়, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত কমফোর্ট হাসপাতালে নাকের সেফটি প্লাস্টিক সার্জারি করার সময় চিকিৎসক প্রফেসর ডা. জাহের আল-আমীনের ভুল চিকিৎসায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তার এই অকালমৃত্যুতে তার পরিবারসহ মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপে নেমে আসে শোকের ছায়া। মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের সব সদস্যসহ তার পরিবার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উল্লিখিত ডাক্তারসহ দোষী সবাইকে আইনের আওতায় এনে অতিদ্রুত বিচার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।

চুয়াডাঙ্গা জেলার সন্তান সামসুদ্দোহা শিমুল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ থেকে পড়াশোনা শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেন। তার সুদীর্ঘ কর্মজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন এবং আজকের অবস্থানে আসীন হোন। তার অকালমৃত্যুতে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের সম্মানিত চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান রাজ, সিআইপি এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলরুবা তনুসহ সব শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গভীরভাবে শোক প্রকাশ এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।

এদিকে সামসুদ্দোহা শিমুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের সব সদস্যসহ তার পরিবারের আত্মীয়-স্বজনরা হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন এবং তার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।

মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি দুই সন্তানের জনক। বর্তমানে তার স্ত্রী ও সন্তানরা আমেরিকায় অবস্থান করছে বিধায় জানাজার সময় পরে জানানো হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।