চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার গুলশানপাড়ায় ফাঁদ পেতে এক বিউটিশিয়ান নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দৌলতদিয়াড়ে ইমি মটরসের মালিক ইলিয়াস হোসেনকে আটক করেছে স্থানীয়রা।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত ১১টার দিকে শহরের গুলশানপাড়ার একটি বাসাবাড়ি থেকে আটক করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীসহ ইলিয়াসকে থানায় নিয়ে আসেন।
এদিকে ওই নারী এবং স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলেন ইলিয়াস।
গতকাল শুক্রবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইলিয়াসকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে সুরক্ষা দেয়।
অপরদিকে, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই নারীর স্বজন ও ক্ষুব্ধ জনতা থানার গেটে জড়ো হন। তারা থানায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন।
একপর্যায়ে থানার গেট ঝাকাঝাকি করলে পুলিশ সদস্যরা ওই নারীসহ তার স্বজনদের ওপর মারমুখী আচরণ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শহরতলীর দৌলতদিয়াড় এলাকার ইমি মটরসের স্বত্বাধিকারী ইলিয়াস হোসেন প্রায়ই গুলশানপাড়ার ওই নারীর বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন। তারা শারীরিক সম্পর্কেও মিলিত হতেন। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে ওৎ পেতে থাকেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে ইলিয়াস ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করলে স্থানীয় লোকজন ও নারীর স্বজনরা তাকে পাকড়াও করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ইলিয়াসকে থানা হেফাজতে নেয়।
এরপরই সদর থানার গেটে এসে জড়ো হয় ক্ষুব্ধ জনতা ও নারীর স্বজনরা। তারাও থানার মধ্যে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পুলিশি বাধার মুখে পড়লে জোরপূর্বক গেট দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ মারমুখী আচরণ করেন।
অভিযোগ উঠেছে, এসময় ওই নারীর এক স্বজনকে মারধরও করে পুলিশ সদস্যরা।
ওই নারীর স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতো ইলিয়াস। বিয়ের কথা বললেই তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতেন। কৌশলে এতদিন ওই নারীকে ধর্ষন করে আসছিলেন ইলিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই নারী চাইলে মামলা দায়ের করতে পারেন। অভিযুক্ত ইলিয়াসকে থানা কাস্টাডিতে রাখা হয়েছে।
সুত্র – দৈনিক আকাশ খবর
এএইচ