চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পাঁকা গ্রামে সাথী আক্তার (৩০) নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (২৮ জুন) বেলা ১২টার দিকে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সাথী খাতুন উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাঁকা গ্রামের শহিদুল সরদারের কন্যা। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে বাবার বাড়িতে থাকতেন।
পুলিশ জানায়, গত ১৫ বছর আগে বিয়ের প্রথম বিয়ে হয় সাথীর। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি সন্তান হয়। কয়েক বছর পর সেই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিবাহ হলে সেটিও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি মানসিক রোগে ভুগতে থাকেন। চিকিৎসাও চলমান ছিল। শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে তার নিজ শয়ন কক্ষের বাঁশের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে দ্রুত উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
জীবননগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) এস.এম জাবীদ হাসান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, বিচ্ছেদের পর থেকে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সবার অজান্তেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পরিপেক্ষিতে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া দেয়া হয়েছে।
এএইচ