চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেছেন, ছোট থেকে নেতৃত্ব প্রদান, পরোপকারিতার মনোভাব গড়ে তোলার জন্য হলদে পাখি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজন করতে হবে। প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে হবে। মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন জাতীয় আয়োজনে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। মানবিক মানুষ হওয়ার জন্য এই সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হলদে পাখি সম্প্রসারণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের কমিশনার ও চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা সুলতানা।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে পাঠ করেন ফারিয়া আহমেদ। আর গীতা পাঠ করেন অনুশ্রী ঘোষ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে হলদে পাখি সম্প্রসারণে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজন করতে হবে। প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে হবে। মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন জাতীয় আয়োজনে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। মানবিক মানুষ হওয়ার জন্য এই সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ। পিপিআইসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে বা নিজেরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে। এসময় জেলা প্রশাসক হলদে পাখি, গার্ল গাইড ও রেঞ্জের একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য আহ্বান জানিয়ে সময় নির্ধারণের জন্য প্রস্তাব করলে শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে সভায় অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে এ ধরনের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জেলা গার্ল গাইডস্ অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কবীর হোসেন, জেলা কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান নাঈমা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান ও জেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার জেসমিন আরা খাতুন। এসময় আরও বক্তব্য দেন দামুড়হুদার গার্ল গাইডস কমিশনার ফাহমিদা রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রভাষক সাবিনা খাতুন, বিজ্ঞ পাখি কবিতা খাতুন, ইসলামপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী, চুয়াডাঙ্গা সদরের স্থানীয় কমিশনার দিলরুবা খানম প্রমুখ। সভায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষকরা।
মেহেরাব/এএইচ