চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে বিষধর রাসেলস ভাইপার মনে করে ঘনগিন্নী সাপের বাচ্চা পিটিয়ে মেরেছে এলাকাবাসী।
আজ সোমবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বাগানপাড়ায় সাপটিকে পিটিয়ে মারা হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বাগানপাড়ার রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্য থেকে একটি সাপের বাচ্চা বেরিয়ে আসতে দেখেন স্থানীয়রা। বিষধর রাসেল ভাইপার ভেবে তারা বাচ্চা সাপটিকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেন।
এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা রাসেল ভাইপার মনে করে আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। পরে মৃত সাপটিকে ঘরগিন্নী সাপ বলে সনাক্ত হলে আতংক কেটে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, এলাকাবাসী ভুলবশত সাপটিকে রাসেলস ভাইপার ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পিটিয়ে মেরেছেন। আমি খবর পেয়ে এসে দেখি মৃৎ সাপটি ঘরগিন্নী সাপের বাচ্চা। এটি বিষহীন একটি সাপ। প্রাণী ও পরিবেশ সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতার অভাবের কারণে ঘটেছে।
চুয়াডাঙ্গার পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পানকৌড়ি’র প্রতিষ্ঠাতা ও স্কুলশিক্ষক বখতিয়ার হামিদ রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, মৃত সাপটি রাসেলস ভাইপার নয়। এটাকে ঘরগিন্নী সাপ (Common Wolf Snake) নামে পরিচিত। এই জাতের সাপের বিষ নেই, তারা নির্বিষ। আতংক হয়ে এভাবে সাপ মারলে প্রকৃতি থেকে সাপ বিলুপ্ত হতে পারে। এতে ইকোসিস্টেম ভেঙে যাবে। তখন জটিল সমস্যার সম্মুখিন হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সে কোন সাপে কামড়ালে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে যেতে হবে। অনেক বিষহীন সাপে কামড়ালেও আতংকিত হয়ে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারেন। তাই সাপে কামড়ালে ওঝা নয়, হাসপাতালে যেতে হবে।
সজিব উদ্দিন/এএইচ