চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তেঘরীতে কণা খাতুন (১৮) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগে স্বামী ওহিদুল ইসলামকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। সোমবার (২০ মে) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেলে শ্বশুর বাড়ি থেকে কণা খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা এ নিয়ে এলাকায় ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কণা খাতুনের গলায় একটি ক্ষত চিহৃ আছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় ও কনার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বছর খানেক পূর্বে সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামে দুখে মিয়ার ছেলে ওহিদুলের সাথে একই ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের মাঝপাড়ায় কদম আলীর মেয়ে কণা খাতুনের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে কনাকে মারধর করতো তার স্বামী। এছাড়া ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কণাকে মারধর করা হতো। এসব কারণেই হয়তো কনাকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হতে পারে।
এদিকে, এঘটনার পর স্বামী অহিদুল ইসলামকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত ৯টার দিকে শ্বশুর বাড়ি গহেরপুর গ্রামে আসলে শ্বশুর বাড়ির স্বজন ও স্থানীয়দের জেরার মুখে পড়েন তিনি। এরপরই ওহিদুলকে গণপিটুনি দেয়া হয়।
দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা।
এএইচ