বর্ষার ভরা মৌসুম। চারদিকে খাল-বিল পানিতে সয়লাব, জলচর পাখিদের কোলাহলে মুখরিত গ্রামবাংলা। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে একদল অসাধু শিকারী। সুযোগ বুঝে তারা জাল পেতে শিকার করতে চেয়েছিল বিরল সব অতিথি ও দেশি পাখি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিল স্থানীয়দের সচেতনতা ও দ্রুত পদক্ষেপ।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টম্বর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের মাঠে পাখি শিকারের উদ্দেশ্যে শিকারীরা জাল বিছিয়ে রাখে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বড় সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আহসান হাবীব শিপলু দ্রুত তার টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। উদ্ধার করা হয় পাখি শিকারের সরঞ্জাম। পরে ফুলবাড়িয়া তিন রাস্তা মোড়ে সেগুলো নিয়ে আসা হয়, যেখানে জনসম্মুখে সচেতনতামূলক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযানের এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সামনে পাখির উপকারিতা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। পরে সবার সম্মতিতে ধারালো কাঁচি দিয়ে জাল ও সরঞ্জাম কেটে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়।

আহসান হাবীব শিপলু বলেন, “চুয়াডাঙ্গার নিচু জলাশয়ে এখন প্রচুর জলচর পাখি ও তাদের ছানা দেখা যাচ্ছে, যা প্রকৃতিকে আরও মনোমুগ্ধকর করছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই পাখি শিকার প্রতিরোধে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু কিছু অসাধু শিকারী এখনও সক্রিয়। আমাদের টিম সর্বদা প্রস্তুত এসব প্রতিহত করতে।”
এ অভিযানে সার্বিক পরামর্শ দেন সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন। অভিযানের শেষে স্থানীয়দের হাতে লিফলেট বিতরণ করা হয়, যাতে পাখি শিকারের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা হয়।

অভিযানে অংশ নেন টিমের সদস্য হাসানুজ্জামান রিগান, সাহাবুল ইসলাম, বায়জিদ, সতেজ, নিরবসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। স্থানীয়রা প্রতিজ্ঞা করেন, তারা আর কোনোভাবেই এলাকায় পাখি শিকার করতে দেবেন না এবং শিকারীদের প্রতিহত করবেন।
এএইচ
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















