০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় ৪৪৩ প্রাথমিক বিদালয়ের মধ্যে ২৪৪ বিদ্যালয়েই নেই প্রধান শিক্ষক

চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪৪৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৪৪ বিদ্যালয়েই নেই প্রধান শিক্ষক। এছাড়া শূন্য আছে ১৫৮টি সহকারী শিক্ষকেরও পদ। এসব বিদ্যালয়ে কবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে, সে তথ্যও জানেন না কর্তৃপক্ষ।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক কাজকর্ম ও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। চলতি মাসের শেষদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠিত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল ঘোষণার কথা রয়েছে।

সে ক্ষেত্রে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গা জেলার নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে। এতে পূরণ হতে পারে সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ। অবশ্য ১৫৮ সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য ধরা হয়েছে চলতি দায়িত্বে থাকা ৮০ জন প্রধান শিক্ষকের পদ।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৪৩টি। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১২১টির মধ্যে ৬৭টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১৩৭টির মধ্যে ৬৮, দামুড়হুদায় ১১৪টির মধ্যে ৬৮ ও জীবননগর উপজেলায় ৭১টির মধ্যে ৪১টি প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষক শূন্য এ সব বিদ্যালয়ে ২০১৮ সালে পদোন্নতি যোগ্য সিনিয়র সহকারী শিক্ষক পদ হতে ৮০ জনকে চলতি দায়িত্বে দেন প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৩১টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২০, দামুড়হুদায় ১৮ ও জীবননগর উপজেলায় ১১টি । ২৪৪টি প্রধান শিক্ষকের শূন্য এসব বিদ্যালয় চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও একজন সহকারী শিক্ষককে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কেদারগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিরিনা আক্তার বলেন, মাসের পর মাস তিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অফিসের কাজে বাইরে গেলে অন্য শিক্ষকদের ওপর চাপ পড়ে। এতে শিক্ষকরা যেমন সর্বোচ্চটা দিতে পারেন না তেমনি শিক্ষার্থীরাও সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাইমারি শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান বলেন, সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রমোশন দিয়ে প্রধান শিক্ষক করা হবে। এ জন্য কাগজপত্র ঢাকায় মহাপরিচালকের দপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। তারপর যাচাই-বাছাইয়ের পর পিএসসিতে যাবে। তারপর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত অফিসের গাছ কেটে ভাগবাটোয়ারা : চার কর্মচারীকে শোকজ

চুয়াডাঙ্গায় ৪৪৩ প্রাথমিক বিদালয়ের মধ্যে ২৪৪ বিদ্যালয়েই নেই প্রধান শিক্ষক

প্রকাশের সময় : ১১:০৮:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪৪৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৪৪ বিদ্যালয়েই নেই প্রধান শিক্ষক। এছাড়া শূন্য আছে ১৫৮টি সহকারী শিক্ষকেরও পদ। এসব বিদ্যালয়ে কবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে, সে তথ্যও জানেন না কর্তৃপক্ষ।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক কাজকর্ম ও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। চলতি মাসের শেষদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠিত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল ঘোষণার কথা রয়েছে।

সে ক্ষেত্রে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গা জেলার নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে। এতে পূরণ হতে পারে সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ। অবশ্য ১৫৮ সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য ধরা হয়েছে চলতি দায়িত্বে থাকা ৮০ জন প্রধান শিক্ষকের পদ।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৪৩টি। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১২১টির মধ্যে ৬৭টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১৩৭টির মধ্যে ৬৮, দামুড়হুদায় ১১৪টির মধ্যে ৬৮ ও জীবননগর উপজেলায় ৭১টির মধ্যে ৪১টি প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষক শূন্য এ সব বিদ্যালয়ে ২০১৮ সালে পদোন্নতি যোগ্য সিনিয়র সহকারী শিক্ষক পদ হতে ৮০ জনকে চলতি দায়িত্বে দেন প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৩১টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২০, দামুড়হুদায় ১৮ ও জীবননগর উপজেলায় ১১টি । ২৪৪টি প্রধান শিক্ষকের শূন্য এসব বিদ্যালয় চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও একজন সহকারী শিক্ষককে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কেদারগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিরিনা আক্তার বলেন, মাসের পর মাস তিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অফিসের কাজে বাইরে গেলে অন্য শিক্ষকদের ওপর চাপ পড়ে। এতে শিক্ষকরা যেমন সর্বোচ্চটা দিতে পারেন না তেমনি শিক্ষার্থীরাও সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাইমারি শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান বলেন, সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রমোশন দিয়ে প্রধান শিক্ষক করা হবে। এ জন্য কাগজপত্র ঢাকায় মহাপরিচালকের দপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। তারপর যাচাই-বাছাইয়ের পর পিএসসিতে যাবে। তারপর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।